• বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, ঘেরাও উপাচার্য, পঠনপাঠন থমকে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ আগস্ট ২০২৪
  • চিৎকার–হট্টগোল–স্লোগান–ঘেরাও। এই ঘটনাগুলি ঘটে যাওয়ায় উত্তাল পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য ঘেরাও হয়ে গিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর তাই অগ্নিগর্ভ বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ঐতিহ্যশালী শিক্ষাকেন্দ্রে। এমন ঘটনা যে ঘটবে কেউ কল্পনাও করেননি। আসলে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। গত একসপ্তাহ ধরে চলছে ছাত্র ফেডারেশনে অবস্থান। বুধবার থেকে ঘেরাও করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। ১৫২ ঘন্টা পার হলেও পড়ুয়াদের অবস্থান এক জায়গাতেই আছে।

    দু’‌দিন আগে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পরিবেশ তৈরি হয়। সেখানে অবশ্য দাবি ছিল অন্যরকম। সেখানে উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তোলপাড় করা হয় পরিবেশ। তাই কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হচ্ছে। আর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কোর্সে ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাই প্রতিবাদে নেমেছে পড়ুয়ারা। এসএফআই’‌র নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীরা ফি কমানোর দাবিতে অবস্থান করছেন। তুমুল বিক্ষোভে তপ্ত ক্যাম্পাস। ক্য়াম্পাসে ঘেরাও করা হয় উপাচার্যকে। সেই অবস্থান বিক্ষোভের ১৫২ ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি।


    এই বিক্ষোভ আন্দোলন করতে গিয়ে পঠনপাঠন এখন শিকেয় উঠেছে। তার উপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসের পরিবেশ তেতে উঠেছে। ঠিক মতো ক্লাস করা যাচ্ছে না বলে একাংশের অভিযোগ। এভাবে ফি কমবে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান সবপক্ষ। ফি কমাতে দু’‌পক্ষের বৈঠকে বসা উচিত বলে মনে করছেন বেশ কিছু পড়ুয়া। ফি বৃদ্ধির পক্ষে কেউ নয়। বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, উপাচার্যের কাছে ফি কমানোর দাবি এখন জানানো হয়েছে। একসপ্তাহ পার হয়ে গেলেও উপাচার্য সেই দাবি নিয়ে কোনও উৎসাহ দেখাননি। কোনও দাবি পূরণ করতে উপাচার্য উদ্যোগ নিচ্ছেন না।

    বারবার বলা সত্ত্বেও উপাচার্য কোনও পদক্ষেপ না করার জেরেই এই আন্দোলন বড় আকার নিয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রছাত্রীদের। ছাত্রছাত্রীরাও তাদের দাবিতে এখনও অনড়। যে কোনও উপায়ে ফি কমাতে হবে। কোনও আর্থিক বোঝা ছাত্রছাত্রীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। উপাচার্যকে লিখিত জবাব দিতে হবে যে তিনি সমস্যা সমাধানে কোন পরিকল্পনা করেছেন। আর এই ফি কমানোর বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে করতে হবে বৈঠক। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত উপাচার্য লিখিত দিচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান–বিক্ষোভ এবং ঘেরাও জারি থাকবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)