• হাসপাতাল হোক বা স্কুল, সারপ্রাইজ ভিজিট করছেন দিদি নম্বর ওয়ান...
    আজকাল | ০২ আগস্ট ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি : স্কুলে ঢুকে পড়ুয়াদের ক্লাস নিলেন। পড়া বুঝিয়ে দিলেন। দিদিমনি হলেন দিদি নং ওয়ান। আবার ছাত্রদের পড়া ধরলেন। সঠিক উত্তর পেয়ে বললেন ওরা ভাল ছাত্র।

    বৃহস্পতিবার পান্ডুয়ার খন্যান প্রথমিক স্কুল পরিদর্শন করেন হুগলির সাংসদ রচনা ব্যানার্জি। হঠাৎ তিনি ঢুকে পড়েন পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস রুমে। ঢুকে দেখেন দিদিমনি পড়ুয়াদের বাংলা পড়াচ্ছেন। নিজের হাতে বই তুলে নেন দিদি নং ওয়ান। দিদিমনির মত ছাত্রদের বানান জিজ্ঞাসা করতে থাকেন। পড়ুয়ারা ঠিক মত উত্তর দেওয়ায় বলেন,ওরা ভাল ছেলে। পরে স্কুল ঘু্রে দেখার পর বলেন, কয়েকটা ঘরের ছাদের চাঙর ভাঙছে সেগুলি সারাতে হবে। ঘরেরও প্রয়োজন আছে। মিড মিল যে ঘরে হয় সেটা অন্য জায়গায় ব্যবস্থা হলে ভাল।

    সরকারি স্কুলেও ভাল পড়াশোনা হয় ইংরেজি শিক্ষা হয়। সেটা যাতে ভালভাবে হয়, সেটার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত সেটা ভালভাবে করতে পারলে কেউ আর স্কুলছুট হবে না। পড়াশোনা ছেড়ে অন্য কাজে যুক্ত হবেনা। এমনভাবেই পড়ুয়াদের তৈরি করতে হবে যাতে তারা পরবর্তী সময় বড় স্কুলে গিয়ে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়।

    সেখান থেকে বেরিয়ে সাংসদ পৌঁছন পান্ডুয়া গ্রামীন হাসপাতালে। হাসপাতাল চত্ত্বর ঘুরে দেখার পর সাংসদ রচনা ব্যানার্জি চিকিৎসক মনিশঙ্কর মুখার্জিকে বলেন, "এত বড় হাসপাতালে অথচ অপরিষ্কার রয়েছে। এখানে মানুষ আসেন চিকিৎসা করার জন্য, অসুস্থ হওয়ার জন্য নয়। সাধারণ মানুষ হিসেবে আপনাকে বলছি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা দরকার। আমি পাঁচ বছর আছি। দিদির সঙ্গে কথা বলে কতটা ইমপ্রুভ করা যায় তার চেষ্টা করব। এটা আলাদা ব্যাপার কিন্তু এখন যেভাবে চলছে সেটা চলতে পারে না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। বাইরে সিকিউরিটি রাখতে হবে। একজন রোগীর জন্য ১০ জন লোক ঢুকতে পারবে না। এটা কোথাও হয় না। প্রত্যেক রোগীর জন্য পাস তৈরি করুন। একজন সেই পাস নিয়ে ঢুকবে আর যদি দুজনকে ঢুকতে হয় তার জন্য স্পেশাল পাস ইস্যু করুন। তাহলে এত কোলাহল হবে না। একটা পেশেন্ট শুয়ে আছে তাঁর সঙ্গে ৫০ জন দাঁড়িয়ে আছে। ওই জন্যই এত কাঁদা, এত নোংরা।" গোটা বিষয়টা নজরদারি চালানোর জন্য পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় ঘোষকে দায়িত্ব দেন সাংসদ। বলেন তিনি আবার এক মাস পর আসবেন।
  • Link to this news (আজকাল)