আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসভায় ফল ভাল হয়নি। বিপর্যয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। বঙ্গ বিজেপিও কী সেই কারণেই বিবাদ ভুলে একমঞ্চে একডাকে মিলতে চাইছে? বৃষ্টিভেজা শহরে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন এমনই এক ইঙ্গিত মিলল শুভেন্দু-দিলীপের সৌজন্য বিনিময়ে। উপলক্ষ্য বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। বার্থডে বয়কে কেক মিষ্টি খাওয়ানোর পাশাপাশি উত্তরীয় পরিয়ে শুভেন্দু যেন বলতে চাইলেন ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’।
সবাই জানে বঙ্গ বিজেপির অঘোষিত দু’পক্ষ দিলীপ এবং শুভেন্দু। সে কথা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন একাধিক বার। লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর শুভেন্দুর ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। সাংগাঠনিক দিকে থেকে বিভিন্ন সূত্রে খবর এসেছে বঙ্গ বিজেপির খোলনলচে বদলাতে পারে। দিলীপ ফিরতে পারেন রাজ্য সভাপতি পদে। দিল্লির নেতারা বারবার বঙ্গ বিজেপির অন্তর্কলহ নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেছেন। কাজের থেকে ঝামেলা বেশি হচ্ছে, হাবেভাবে দিল্লির নেতারা এই কথাটা বুঝিয়ে দিতে কী চাননি? আপাত দৃষ্টিতে তেমনই মনে হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকও করতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। সে যে কারণেই হোক, শ্রাবণসিক্ত বিধানসভা কক্ষে নতুন সমীকরণ তৈরিতে হাত মেলালেন দিলীপ-শুভেন্দু-সুকান্ত।
এদিন ছিল দিলীপের ৬০তম জন্মদিন। আর সেই জন্মদিনই ধুমধাম করে পালিত হল বিরোধী দলনেতার ঘরে। দেখা গেল, কেক-মিষ্টি খাইয়ে দিলীপকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন শুভেন্দু। উপস্থিত বাকি একজনের থেকে চেয়ে নিলেন উত্তরীয়। দিলীপের মুখে মৃদু হাসি। পাশে দাঁড়ানো অগ্নিমিত্রার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন কেক। ঠাট্টা করে বলছেন দু’একটা কথাও। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও ছিলেন অনুষ্ঠানে। সব মিলিয়ে যেন পাওয়া যাচ্ছে এক নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত। এমনতি দিলীপ ঘোষ বিধায়ক না হলেও বিধানসভায় মাঝেমাঝেই আসেন। এদিনও তেমনই এসেছিলেন। শুভেন্দু কী সারপ্রাইজ দিলেন দিলীপকে? বার্থ ডে সারপ্রাইজ! সে কথা অবশ্য জানা নেই। তবে হাল ফেরাতে বিজেপি সংগঠনে রদবদল করতেই পারে, এদিনের পর সে জল্পনা যেন আরও বেড়ে গেল।