• মঙ্গলকোটে শাসক দলের গোষ্ঠী বিবাদের অন্তরালে কারা?
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০২ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মঙ্গলকোট: লোকসভার ফলাফল প্রকাশ পরবর্তীতে ছোটখাটো রাজনৈতিক বিবাদে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট এলাকা । বিশেষ সদর মঙ্গলকোট অঞ্চল এলাকায়। কার্যত বিরোধীশুন্য মঙ্গলকোটে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীবিবাদের রসায়ন ক্রমশ বদলাচ্ছে সময়ের বিবর্তনে । পঞ্চায়েতস্তরে জনপ্রতিনিধি হিসাবে যেমন জেলার সভাধিপতি প্রাপ্তি যোগ ঘটেছে মঙ্গলকোটের। ঠিক তেমনি মঙ্গলকোটের বিধায়ক দলীয় নেতৃত্বে জেলার সেরা তিন পদাধিকারীতে রয়েছেন। একদা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বনাম অপূর্ব চৌধুরীর ‘ঠান্ডা লড়াই’ দেখেছে মঙ্গলকোট।

    বর্তমানে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক মাঠের বাইরে।তিনি বর্তমানে মন্তেশ্বরের বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী। সেই জায়গায় গোষ্ঠী বিবাদে নুতন নূতন ‘মুখ’ তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক স্বার্থের পাশাপাশি অজয় নদের বালিঘাটের বিপুল আর্থিক রসদ এর মূল কারণ বলে অনেকেই মনে করছেন। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোটের রাজনীতিতে আসরে নেমেছেন নাকি এক পুলিশ অফিসার? অরাজকতা সৃষ্টি করে ফিরে আসার পথ কে প্রশস্ত করতে নাকি এহেন কর্মকান্ড। পদে থাকাকালীন ওই পুলিশ অফিসার কে ‘পুলিশ’ অপেক্ষা রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে বেশি চিনত এলাকাবাসী।

    থানায় একের পর এক ভোজ আয়োজন করতে দেখা যেত তাঁকে।সেই ভোজে যোগ দিতে আসতেন স্থানীয় শাসক দলের প্রায় নেতা কর্মীরা। মঙ্গলকোটের হাসপাতাল সংলগ্ন তৃণমূলের দলীয় অফিস দখল অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। দখল অভিযানের দিন লোকসভার অন্য জায়গায় ভোটের জন্য মঙ্গলকোট থানায় পুলিশ কর্মী অত্যন্ত কম ছিল বলে বিভিন্ন সুত্রে প্রকাশ ।বর্তমান মঙ্গলকোট থানার আইসি অত্যন্ত দ্রুততায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।ঘটনার দিনে পরবর্তীতে ভাতার, কেতুগ্রাম, কাটোয়া সদর বর্ধমান থেকে পুলিশ বাহিনী আসে।পুলিশ কম থাকার বিষয়টি অবগত হওয়াতেই কি সেদিন দলীয় অফিস দখল অভিযান নেওয়া হয়েছিল? কে দিয়েছিল পুলিশের আভ্যন্তরীণ খবর? এখনও তৃণমূলের ওই ব্লক অফিসে পুলিশের চব্বিশ ঘন্টা পাহাড়া রয়েছে।

    যদিও পুলিশের তরফে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এলাকার শান্তিরক্ষার জন্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পরবর্তীতে বিজয় মিছিল কর্মসূচি বাদ দিয়ে গত ১ জুলাই কৈচরে হাজারের বেশি নেতা ? কর্মী ? সমর্থকদের নিয়ে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করেছিলেন। সবাই তৃপ্ত বিধায়কের এহেন প্রয়াসে।বিজয় মিছিল হলে রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি হতো।তাতে পরবর্তীতে হানাহানির ঘটনা ঘটতে পারতো বলে অনেকেই মনে করছেন।

  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)