এ ব্যাপারে আদৌ কোনও অনিয়ম হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এই রিপোর্ট তলব করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশেষ বেঞ্চেই চিটফাণ্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়।আমানতকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন , -‘ ফিল্ম সিটির যে বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে সেটা সাধারণ আমানতকারীদের টাকায়। সেই টাকা আগে ফেরত দেওয়া হোক। প্রয়াগ ফিল্ম সিটির মোট ৭৫২ একর জমির কিছুটা ওদের কেনা, কিছুটা লিজ। সরকার না দেখে ৩৫০ একর জমি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে এক টাকায় দিয়ে দিয়েছে। সরকার যা খুশি করুক, আমাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক। ২৭০০ কোটি টাকার মতো তোলা হয়েছে। সেই টাকা নিয়ে ফিল্ম সিটি বানানো হয়েছে। এই টাকা সরকার আগে সাধারণ মানুষকে ফেরত দিক, তারপর ওই জমি নিয়ে যা খুশি করুক’।আমানতকারীদের আইনজীবী আরও বলেন, -‘ রাজ্য তালুকদার কমিটির বক্তব্য না শুনে সৌরভকে এক টাকায় সেই জমি দিয়েছে’।
উল্লেখ্য, চিটফাণ্ডে প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে কলকাতা হাইকোর্ট প্রাক্তন বিচারপতি এসপি তালুকদারের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছিল। চিটফান্ড কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস পি তালুকদারের নির্দেশ রয়েছে , -‘রাজ্যে যেহেতু ফিল্মসিটি নেই। সেটাকে ডেভেলপ করলে লাভ হবে রাজ্যের মানুষের । কোনও ইন্ডাস্ট্রি করলে তা হবে না’। মামলার শুনানি চলাকালে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ ছিল, -‘চিটফান্ড মামলায় অবৈধ আর্থিক লেনদেনকারি সংস্থার সঙ্গে আমানতকারীদের সমস্যার বিষয় বিচার হয়। কিন্তু যেহেতু এখানে রাজ্যের ভূমিকা আছে তাই আমানতকারীদের আবেদন জনস্বার্থ মামলার সমতুল্য’। আদালতের এই পর্যবেক্ষণের জন্যই আমানতকারীরা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মামলাটি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে ।