সংবাদদাতা, শীতলকুচি, মাথাভাঙা, ফালাকাটা ও ধূপগুড়ি: বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ঝোড়ো হওয়ায় বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দমকা হাওয়ায় সঙ্গে বৃষ্টিও হয় কিছুক্ষণ। শীতলকুচি ব্লকের ছোট শালবাড়ি চরে শুকনো একটি গাছ ভেঙে মাথায় পড়ে মৃত্যু হয় এক বধূর। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কুঠিবালা হালদার (৫০)। স্থানীয়রা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
মৃতার ভাই মহাদেব সরকার জানান, বৃষ্টি শুরু হলে দিদি গোরু আনতে বের হয়। তখনই একটি গাছ ভেঙে ওর মাথায় পড়ে। এভাবে তরতাজা প্রাণটি চলে যাবে ভাবতেই পারছি না। শীতলকুচি থানার ওসি অ্যান্থনি হোড়ো জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মাথাভাঙা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বজ্রাঘাতে জখম হন শীতলকুচি ব্লকের গোলেনাওহাটি পঞ্চায়েতের মিরাপাড়ার এক ব্যক্তি। জখমের নাম রবীন্দ্রনাথ বর্মন। জমির আল কাটার সময় আচমকাই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। সেখানেই বজ্রাঘাতে জখম হন রবীন্দ্রনাথ। মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি-ধাপরাহাট রাস্তায় আম গাছ পড়ে একটি দোকান এবং একটি বাইক ভেঙে যায়। ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে ক্ষতি হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়িরও। মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নিয়তি সরকার বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির হিসেব কষা হচ্ছে।’ মাথাভাঙা-শীতলকুচি রাজ্য সড়কের এলংমারিতে ভেঙে পড়ে কয়েকটি গাছ। ফলে যান চলাচল বন্ধ থাকে কিছুক্ষণ। মাথাভাঙা এসডিপিও সমরেন হালদার বলেন, এলংমারিতে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছগুলি দ্রুত সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। ধূপগুড়ির থেকে ময়নাগুড়িগামী ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কিষাণমান্ডি সংলগ্ন এলাকার হাইটবার দমকা হাওয়ায় পড়ে যায়। এতে অল্পের জন্য দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় একটি লরি। রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। পরবর্তীতে ট্রাফিক পুলিসের উদ্যোগে হাইটবার সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ফালকাটা এসএসবি ক্যাম্পের গাছ পড়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।