ভিন্ রাজ্যে আলু রফতানির দাবিতে জেলা জুড়ে আলুচাষিদের আন্দোলন চলছেই। বুধবার কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ ব্লকে আলুচাষিদের বিক্ষোভের পরে, বৃহস্পতিবার মাথাভাঙা ১ ব্লকের বৈরাগীরহাটে রাজ্য সড়কে আলু ছড়িয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল হলেন কয়েকশো আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের একাংশ।
এ দিকে, বুধবার মাথাভাঙা ২ ব্লকের সতীশেরহাটে আলুচাষিদের আন্দোলনের ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সমাজ মাধ্যমে ‘পোস্ট’ করে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ— ‘আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের উপরে রাজ্য সরকার দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।’
সে অভিযোগ উড়িয়ে কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘‘যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের কেউ আলুচাষি নন। এক শ্রেণির মজুতদার হিমঘরে আলু মজুত রেখে, বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে আলু ভিন্ রাজ্যে পাঠাতে চাইছেন।’’
এ দিন দুপুর ১২টা থেকে মাথাভাঙা-ময়নাগুড়ি রাজ্য সড়কের বেঙলদই এলাকায় পথ অবরোধ করেন আলুচাষিরা। তাঁরা বলেন, ‘‘কিছু দিন ধরে পাইকারি ব্যবসায়ীরা আলু কেনা বন্ধ রেখেছেন। তার জেরে, আমরা সমস্যায় পড়েছি। বাজারে আলু বিক্রির জন্য নিয়ে গেলেও দাম পাওয়া যাচ্ছে না।’’ দেড় ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীদের কয়েক জন।
পরে কৃষি দফতরের আধিকারিকেরাও সেখানে পৌঁছন। তাঁদের ও পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। অবরোধের জেরে রাজ্য সড়কের দু’দিকে গাড়ির লাইন দাঁড়িয়ে যায়। অবরোধ উঠতেই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সমস্যার সমাধান না হলে, আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন আলুচাষিরা।