রেশন দুর্নীতি মামলা: ইডি দফতরে হাজিরার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর গ্রেফতার আনিসুর ও তাঁর ভাই
আনন্দবাজার | ০২ আগস্ট ২০২৪
রেশন দুর্নীতি মামলায় দেগঙ্গার তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান এবং তাঁর ভাই আলিফ নুর ওরফে মুকুল রহমানকে গ্রেফতার করল ইডি। বৃহস্পতিবার সকালে দু’জন সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতের হাজিরা দিয়েছিলেন। সঙ্গে কিছু নথিও নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল তাঁদের। শুক্রবার কোর্টে হাজির করানো হবে দু’জনকে। রেশন দুর্নীতি মামলায় আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিক। প্রাক্তন মন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। এ বার আনিসুর এবং বাকিবুরের আত্মীয় আলিফকে গ্রেফতার করল ইডি।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন আনিসুর এবং আলিফ। তাঁদের সঙ্গে ছিল বেশ কিছু নথিপত্র। ইডির দফতরে ঢোকার সময় সাংবাদিকেরা আনিসুরকে নথি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি। তাঁকে জ্যোতিপ্রিয়, বারিক বিশ্বাসের কথা জিজ্ঞাসা করা হলেও, তিনি সেই সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার ভোর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল ইডি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক চালকলে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তালিকায় ছিল দেগঙ্গায় আলিফের বাড়ি এবং চালকল। পাশাপাশি, বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছিল ইডি। তাঁর ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার ৯ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকেরা। রাতে বারিকের ফ্ল্যাট ছাড়ার সময় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা। শুধু বারিকের ফ্ল্যাটে নয়, একযোগে তাঁর চালকলেও হানা দিয়েছিল ইডি। ইডির দল যখন বারিকের বাড়ি এবং চালকলে তল্লাশি চালাচ্ছিল, তখন ইডির অন্য দল পৌঁছে যায় দেগঙ্গায়। বাকিবুরের আত্মীয় আলিফের বাড়ি এবং চালকলে তল্লাশি চালায় তারা। প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান শেষে বাড়ি থেকে দু’টি মোবাইল তদন্তের কারণে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ ছাড়া বেশ কিছু নথিপত্র এবং ১৩ লক্ষ টাকাও বাজেয়াপ্ত করে তারা। এর পরেই বারিক এবং রহমান ভাইদের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। আনিসুর এবং আলিফ সেই তলবেই বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। এ দিন গভীর রাতেই গ্রেফতার করা হল তাঁদের।