বাগুইআটিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল তিনতলা বাড়ি, মৃত্যু মেধাবী কিশোরের
এই সময় | ০২ আগস্ট ২০২৪
মাত্র ১৫ বছর আগে তৈরি হয়েছিল বাড়ি। কিন্তু, কয়েকদিন ধরেই সেই বাড়িতে জায়গায় জায়গায় দেখা গিয়েছিল ফাটল। তার উপর বিপদ বাড়ায় টানা বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার রাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাগুইআটি থানা এলাকার অশ্বিনীনগরের একটি তিনতলা বাড়ি। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে যান এক যুবক। তাঁকে উদ্ধার করতে বিস্তর বেগ পেতে হয়েছিল দমকলকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিল দল। অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে ওই যুবককে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।স্থানীয়দের দাবি, প্রথমে তিনতলার ছাদ ভেঙে দোতলায় পড়েছিল। তারপর দোতলার ছাদ ভেঙে পড়ে ধ্রুবজ্যোতি মণ্ডলের (১৮) উপর। সেই সময় বাড়িতে খাটের উপর বসে টিভি দেখছিলেন তিনি। তার মা এবং মেজ দাদা সেই সময় অন্যত্র থাকার জন্য বাড়ি খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন ধ্রুব।
মণ্ডল পরিবার জানাচ্ছে, তারা ওই বাড়িটি সংস্কারের কথা ভাবছিল। কিন্তু, তার আগেই এই বিপত্তি। ওই কিশোরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। মাত্র ১৫ বছরের বাড়ি কী ভাবে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাড়িটি নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। ফলে প্রথম থেকেই তা দুর্বল ছিল। ধীরে ধীরে বাড়ির বাহ্যিক কাঠামোতেও তা প্রকট হতে থাকে। এর আগে বিধাননগর পুরসভা থেকেও এই বাড়িতে বসবাস করতে নিষেধ করা হয়। মণ্ডল পরিবার তারপর থেকেই বাড়িভাড়া খুঁজছিল। কিন্তু, অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই এই বিপত্তি ঘটে।
ধ্রুবজ্যোতি মেধাবী পড়ুয়া হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। ২০১৮ সালে তার বাবা মারা যান। এরপর মা এবং দাদার সঙ্গেই থাকতেন ধ্রুবজ্যোতি। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে সেখানে যায় বাগুইআটি থানার পুলিশ এবং দমকল। স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান। কিন্তু, একাধিক সিমেন্টের চাঁইয়ের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছিল দেবজ্যোতি। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁকে আর জি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।