• ধস নামল রেললাইন ঘেঁষে, আতঙ্কিত যাত্রীরা, টানা বৃষ্টিই কারণ? ...
    আজকাল | ০২ আগস্ট ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি: আতঙ্ক কিছুতেই যাত্রীদের পিছু ছাড়ছে না। কখনও রেল দুর্ঘটনা, কখনও আবার একই লাইনে দুই গাড়ি। গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বিপর্যয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই বার বার উঠে এসেছে যাত্রী সুরক্ষার প্রসঙ্গ। এবারে আবার নতুন বিপর্যয়ের বার্তা। রেল লাইনে ধসকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ালো যাত্রীদের মধ্যে। ধস নামলো রেল লাইন ঘেঁষে।

    রেল লাইনের পাশে থাকা কংক্রিটের স্লিপার মাটি সহ গিয়ে বাগানের গাছ সহ পড়ল পুকুরে। শুক্রবার হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের চুঁচুড়া এবং চন্দননগর স্টেশনের মাঝামাঝি দেবীপুর এলাকায় আপ লাইনের ধারে নজরে পরে এই ভয়াবহ ধস। রেল কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক অনুমান টানা চলতে থাকা প্রবল বৃষ্টির জেরেই মাটি ধসে পড়েছে। এদিন সকালে প্রথমে বিষয়টি দেবীপুর এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তির নজরে পরে। তিনি দেখেন রেল লাইনের উপরে থাকা কংক্রিটের স্লিপার প্রচুর মাটি সহ নিচে পুকুরে এসে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি খবর দেন চুঁচুড়া স্টেশনে।

    খবর ছড়িয়ে পড়তেই আপ হুল এক্সপ্রেসকে কিছুক্ষণের জন্য চন্দননগর স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। জানা গেছে, তাঁর কিছুক্ষণ পরই অবশ্য ধীরগতিতে ওই এলাকা পেরিয়ে গন্তব্যের দিকে যাত্রা করে হুল এক্সপ্রেস। বৃষ্টির মধ্যেই দেবীপুরে পৌঁছন পূর্ব রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। তাঁরা ধসে যাওয়া রেল লাইন এবং সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। একইসঙ্গে ধসে যাওয়া অংশে কি করা যায় তা নিয়ে তদারকি শুরু করেছেন। এটার পর থেকেই আপ লাইনে গাড়ি ওই এলাকার উপর দিয়ে খুব ধীরগতিতে পাস করানো হয়। গত মঙ্গলবার দুর্ঘটনার কবলে পরে মুম্বাই এক্সপ্রেস।

    তার কয়েক মাস আগেই কাঞ্চনজঙ্ঘা একপ্রেস দূর্ঘটনা। এভাবেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার খবরে রীতিমত আতঙ্কিত যাত্রীরা। এমন পরিস্থিতিতে রেল লাইনে ধসের খবর যাত্রী মহলে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। দেবীপুর এলাকায় রেল লাইন সংলগ্ন ১৫ থেকে ২০ ফুট এলাকা জুড়ে ধস নেমেছে। কংক্রিটের স্লিপার সহ পাশের পুকুরে পড়েছে। ধসের ফলে লাইনের পাশে থাকা ফলন্ত পেঁপে বাগান, একাধিক গাছ সহ কচুবনের একটি বড় অংশ পুকুরে তলিয়ে গিয়েছে। রেল লাইনের বেশ কিছুটা অংশ স্লিপার সহ মাটি ধসে পড়ায় চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা অবিলম্বে ধস মেরামত করার দাবি করেছেন। ঘটনাস্থলে রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের পাশাপাশি রয়েছেন আরপিএফ কর্মীরাও।

    ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)