• চোখের অপারেশনের পর আই ড্রপের বদলে পেটে ব্যথার ওষুধ! সুস্থ হওয়ার বদলে রোগী...
    ২৪ ঘন্টা | ০২ আগস্ট ২০২৪
  • সৌরভ চৌধুরী: চোখের অপারেশনের পর চোখের ওষুধের বদলে পেটে ব্যথার ওষুধ! এমনই তাজ্জব করা কাণ্ড ঘটেছে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে ছানি অপারেশনের পর চোখের ড্রপ লিখে দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট চিকিত্‍সক। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফার্মেসি কাউন্টার থেকে ফ্রি-তেই সেই ওষুধ মেলে! ওষুধ নিয়ে আর পাঁচজন রোগীর মতো সরল বিশ্বাসে তা ব্যবহার করতে শুরু করেন ঝাড়গ্রাম শহরের শিরিষচক এলাকার বাসিন্দা হাঁসি দাস। আর তারপরই বিপত্তি।

    তাঁর অভিযোগ, হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে তাঁকে নির্ধারিত চোখের ড্রপের বদলে দেওয়া হয়েছে বাচ্চাদের পেটের ব্যথা উপশমের ওষুধ। আর আই ড্রপের বদলে সেই পেটে ব্যথার ওষুধ-ই তিনি চোখে দিয়েছেন। যার ফলে তাঁর চোখে ব্যথা হতে শুরু করে। এই ঘটনায় হাসপাতালে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রৌঢ়া। ২ বার অভিযোগ জমা দেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। ওদিকে জেলা শাসকের দফতরেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখন কোনও ডাক পাননি ওই প্রৌঢ়া। এর মাঝে চোখের মণিতে ব্যথা বাড়তে থাকায়, বেড়েছে দুশ্চিন্তাও। উল্লেখ্য, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বিভ্রাটের নজির মোটেই নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘটনায় অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের এই ঘটনায় আবার নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষদের মনেও।

    প্রসঙ্গত, কদিন আগেই খাস কলকাতায় ছানি অপারেশনের পর 'অন্ধ' হতে বসেছিলেন রোগীরা! ছানি অপারেশনের পর আর চোখে দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রায় জনা ৩০ রোগী। মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সেই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তড়িঘড়ি ওটি বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। সেইসঙ্গে অপারেশন থিয়েটারে যে সব সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছিল ও রোগীদের যে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তার নানা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য ভবনে সেই রিপোর্ট জমা পড়তেই দেখা যায়, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ওটি থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। ছানি অপারেশনের সময় চোখের ভিতরের স্তরে  আবরণ তৈরি করতে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং অপারেশন টেবিলে যে ফ্লুইড ব্যবহার করা হয়, তার থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)