জমি জালিয়াতির অভিযোগ, গ্রেপ্তার মায়াপুর ইসকনের প্রাক্তন কর্তা
এই সময় | ০২ আগস্ট ২০২৪
গ্রেপ্তার মায়াপুর ইসকন মন্দিরের প্রাক্তন চিফ কো-অর্ডিনেটর জয়ন্ত সাহা ওরফে জগদার্তৃহা দাস। জমি জালিয়াতির একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শুক্রবার তাঁকে নবদ্বীপ আদালতে তোলা হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, মায়াপুর বামনপুকুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নবদ্বীপ থানায় একটি জমি জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। এরপর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, তিনি জমির চরিত্র বদল না করেই বিদেশিদের কাছে জমি বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ। আজ ধৃত ইসকন ভক্ত জগদার্তৃহা দাসকে নবদ্বীপ আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক।
অন্যদিকে, ইসকন ভক্তের গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া মাত্রই নবদ্বীপ আদালতে পৌঁছয় ভারতীয় কিষান মোর্চার সভাপতি তথা বিজেপি নেতা মহাদেব সরকার, শ্রুতি শেখর গোস্বামী ছাড়াও বিজেপির অনন্য নেতৃত্ব। এ বিষয়ে রাজ্য কৃষাণ মোর্চার সভাপতি মহাদেব সরকার বলেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছর আগে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে এখন কেন গ্রেপ্তার করা হল?’ তাঁর দাবি, তিনি হিন্দু ধর্ম রক্ষার্থে বিভিন্ন রকম কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। কলকাতা ব্রিগেড প্যারেড গাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ অনুষ্ঠানেও তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস আগে ইসকনের একজন রক্ষীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তারপর ইসকনের চিফ কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করা হয়। অন্যদিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মধ্য বঙ্গ প্রান্তের কর্মকর্তা শ্রুতি শেখর গোস্বামী জানান, ‘জগদার্তিহা প্রভুকে সম্পূর্ণরূপে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি নবদ্বীপ এবং মায়াপুরের সনাতন ধর্ম রক্ষার একজন মুখ।’ ২০১২ সালের একটি অভিযোগ নিয়ে ২০২৪ সালে কিভাবে গ্রেপ্তার করা হল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন শ্রুতি গোস্বামী।
অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ জানান, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ আদালতে তোলা হয়েছে। পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। আমরা গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।