পাসপোর্টের পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য হয়রানি? ভিডিয়ো বার্তা রাজ্য পুলিশের
এই সময় | ০২ আগস্ট ২০২৪
পড়াশোনা বা কর্মসূত্রে বিদেশ যাত্রার জন্য পাসপোর্ট করাতে হয় ভারতীয় নাগরিকদের। পাসপোর্ট করার পর পুলিশ ভেরিফিকেশন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে, পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন। জানেন কী? পাসপোর্ট করার পর সহজেই পুলিশ ভেরিফিকেশন কীভাবে করতে হয়? আসুন, দেখে নেওয়া যাক পুলিশের নিয়ম কী বলছে?পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি
পাসপোর্ট করার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রয়োজন হয়। যেমন - পাসপোর্ট নম্বর, যে দেশের সার্টিফিকেট প্রয়োজন, নিজের পুরো নাম, পরিচয়পত্র, বৈবাহিক অবস্থা, নাগরিকত্বের ধরন, যোগাযোগ ও স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ। পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য অনলাইনে ফর্ম ডাউনলোড করার ব্যবস্থা রয়েছে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের নিয়ম
মূলত,রিজিয়নাল পাসপোর্ট অফিস থেকে ভেরিফিকেশনের জন্য ডিস্ট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ বা কমিশন অব স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চ-এ রিপোর্ট চলে আসে। অনালাইনে সেই ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয়। থানা থেকেই যে নাগরিক পাসপোর্ট তৈরি করেছেন, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে নেবেন। তাঁর ঠিকানা ভেরিফাই করবে, তাঁর কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড আছে কিনা, সেই বিষয়টি ভেরিফাই করবে। এছাড়াও সেই নাগরিকের জন্ম শংসাপত্র সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট ভেরিফাই করবে। এরপর পুলিশের তরফেই অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট আপলোড করে দেবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য আলাদা করে কোনও খরচ করতে হবে না নাগরিকদের।
পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্য পুলিশের তরফে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে নাগরিদকদের বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই ভিডিয়োতে হাওড়া পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘ আমরা তিন সপ্তাহের মধ্যেই পুলিশ ভেরিফিকেশ রিপোর্ট আপলোড করে দিই। যাতে রিজিয়নাল পাসপোর্ট অফিসে সেই রিপোর্ট চলে যায়, সেই ব্যবস্থা করা হয়। এখানে আলাদা করে কোনও ফিজ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।’
উল্লেখ্য, সারা দেশে ৯৩টি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র, ৫৩৩টি পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র এবং ৩৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস রয়েছে। মন্ত্রক বিদেশে ১৮৭ টি ভারতীয় মিশনে পাসপোর্ট জারি করার ব্যবস্থাকেও সংহত করেছে ইতিমধ্যে। দেশে ২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯ হাজার থানায় 'এমপাসপোর্ট পুলিশ অ্যাপ' চালু করা হয়েছে ইতিমধ্যে।