• ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অভিনব প্রতারণা, কোচবিহারে পুলিশের জালে ২
    এই সময় | ০৩ আগস্ট ২০২৪
  • Youtube বর্তমানে অন্যতম অর্থ উপার্জেনের জায়গা। নিজের একটি চ্যানেল বানিয়ে বিভিন্ন ধরণের ভিডিয়ো বানিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন নেটিজেনরা। শুধুমাত্র শহরাঞ্চলের ছেলেমেয়েরাই নন, ইউটিউবকে চ্যানেলকে পেশার মাধ্যম হিসেবে বেছে নিচ্ছেন গ্রামীণ ছেলেমেয়েরাও। সেই চ্যানেল তৈরি করে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেছিল দুই যুবক। পুলিশের জালে কোচবিহারের দুই প্রতারক।পুলিশ সূত্রে খবর, ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে তা দিয়ে টাকা কামানোর টোপ দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছিল দুই যুবক। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দিনহাটা থানা এলাকার গোসানিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের দড়িয়া গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাইবার জালিয়াতি কল সেন্টার ফাঁস করে। ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তারকরে। ধৃতরা হলেন রাজেশ রায় ও সুজন মণ্ডল। তারা ওই এলাকারই বাসিন্দা।

    পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ল্যাপটপ ও কয়েকটি সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে । আজ তাদের দুজনকে কোচবিহার আদালতে পেশ করা হলে আদালত তাদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের এই প্রতারণার ছক দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতারিতদের মধ্যে এক ব্যক্তি সাইবার ক্রাইমে একটি মামলা করেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দু’জনকেই গ্রেপ্তারকরে।

    কোচবিহার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য পুলিশ সুপার বলেন, ‘এরা একটি ইউটিউব চ্যানেল করে বিভিন্ন মানুষকে ইউটিউবে ইনকামের পন্থা শেখানোর কথা বলত। বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা তুলতো। কিন্তু, আদৌ তাঁদের কিছু শেখানো হতো না। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতারণা চালাচ্ছিল তারা। দুজনকেই গ্রেপ্তারকরা হয়েছে।’ পুলিশ সূত্রে খবর, এরা ওই এলাকায় প্রায় তিন বছর ধরে এই চক্র চালাচ্ছিল। রাজ্যের বাইরে প্রচুর লোকের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছে। এরকম ভুয়ো প্রশিক্ষণের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এদের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা ঘেঁটে দেখা হচ্ছে।
  • Link to this news (এই সময়)