রাস্তায় লাফাচ্ছিল কই, ধরতে গিয়ে জ্যান্ত মাছ ঢুকল মুখে, তারপর...
এই সময় | ০৩ আগস্ট ২০২৪
অন্তঃস্বত্তা স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। ফেরার পথে রাস্তার ধারে হঠাৎ দেখতে পেলেন কই মাছ লাফাচ্ছে। নজরে পড়তেই লোভ সামলাতে পারলেন না। সেই লোভই কেড়ে নিল প্রাণ। গলায় কই মাছ আটকে প্রাণ গেল গ্রামবাসীর। ঘটনা বর্ধমান জেলায়। মৃত ব্যক্তির নাম সাগর রায় (৩৫)।জামালপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি পাণ্ডুয়া থানা এলাকায়। জৌগ্রামের তেলে গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন তাঁরা। বাড়ি ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। অন্তঃস্বত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখিয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি ফিরছিলেন ওই দম্পতি। এর মাঝেই রাস্তায় হঠাৎ কই মাছ দেখতে পান সাগর। এরপরেই একটি কই মাছ হাত দিয়ে ধরেন তিনি। আশপাশে আরও কই মাছকে রাস্তায় লাফাতে দেখেন। লোভ সংবরণ পারেননি। দুই হাতে দুটি কই মাছ ধরার পর আরও একটি কই মাছ ধরার উদ্ধত হন।
একটি মাছকে মুখের মধ্যে রেখে আরও একটি কই মাছ ধরতে যান। তখনই ঘটে বিপত্তি। মুখের মধ্যে থাকা কই মাছটি গলায় আটকে যায়। কই মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যায় তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখান থেকে তাঁকে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে। শুক্রবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে সাগরের দেহ।
ওই যুবকের পরিবারের লোকজন থাকেন হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ায়। ছেলের অকস্মাৎ মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ তাঁর মা লক্ষ্মী রায়। পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। লক্ষ্মী দেবী বলেন, ‘ছেলে সকালে কই মাছ ধরছিল। কই মাছ ধরে মুখে রেখেছিল। তাতেই এই ঘটনা।পাকা রাস্তায় কই মাছ উঠে এসেছিল। খালি হাতে ধরছিল সেই মাছ। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি।’ উল্লেখ্য, ভরা বর্ষায় অনেক সময়ই নদী বা পুকুর থেকে রাস্তার ধারে উঠে আসতে দেখা যায় কই মাছকে। সেই মাছ ধরার নেশাও থাকে অনেকের। মাছ ধরে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। তবে, এক্ষেত্রে অসাবধানতাবশত মুখের মধ্যে কই মাছটি নেওয়ার কারণে এই বিপত্তি ঘটল বলেই মনে করা হচ্ছে।