বিজেপির পরিষদীয় দলের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে গরিব মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। কালোবাজারি বন্ধ এবং ফড়েদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়। বিজেপির তরফে পুরুলিয়ার জয়পুরের বিধায়ক নরহরি মাহাতো প্রস্তাবটি বিধানসভায় পাঠ করেন। জবাবে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পেট্রোপণ্যের দাম বাড়লে জিনিসের দাম বাড়ে। আপনারা সেটা জানেন। অতএব বিরোধিতা করার জন্যই বিরোধিতা করছেন।” মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনী বন্ড, ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি চুপ কেন?
এই ঘটনার পর শোভনদেব এবং শুভেন্দুর মধ্যে বাগ্যুদ্ধ শুরু হয়। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় থামাতে মাঝেমধ্যেই হস্তক্ষেপ করতে হয় স্পিকারকে। শোভনদেব বলতে থাকেন, “যাঁরা বাজেট ঘোষণা করে মেডিক্যাল সামগ্রীর উপরও জিএসটি নেয়, তাঁদের মুখে এই সব দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা মানায় না।” মন্ত্রী জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছেন। টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। সব্জির দামও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
শোভনদেব পাল্টা উত্তর দেওয়ার সময় বিধানসভার ভিতরেই চিৎকার করতে থাকেন বিরোধী দলের সদস্যেরা। অধ্যক্ষ বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, “মন্ত্রী বিধানসভায় উত্তর দিচ্ছেন। আপনাদের শোনার ধৈর্য নেই।” বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বাইরে বেরিয়ে আসেন বিজেপি বিধায়কেরা। তার পর বিধানসভার গেটের বাইরে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।পরে স্পিকার এই প্রসঙ্গে বলেন, “উত্তর কারও পছন্দ হতে পারে, না-ও হতে পারে,সবাইকে শুনতে হবে। এটাই তো সংসদীয় গণতন্ত্রে বাঞ্ছনীয়।”আরও বলেন , “ওরা (বিজেপি) বার বার বলে, আলোচনা করতে দেওয়া হয় না। আজ আমরা আলোচনা করতে দিই। কিন্তু ওরা চলে গেল। এটা অনভিপ্রেত।”