ঘটনাটি ঠিক কী? বর্তমান কর কাঠামোয় স্বাস্থ্যবিমা ও জীবনবিমার প্রিমিয়ারে ১৮ শতাংশ হার GST দিতে হয়। কিন্তু বাজেটের পর বিমাকে GST-মুক্তি দাবি জোরালো হচ্ছে ক্রমশই। চিঠিতে মমতা লিখেছেন, 'স্বাস্থ্য বিমার প্রাথমিক লক্ষ্য হল অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা মৃত্যুর মতো পরিস্থিতিতে মানুষকে আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়া। কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিমার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিমা সামাজিক নিরাপত্তাও দেয়'।
এদিন লোকসভায়ও জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমাকে GST-র প্রতিবাদ সরব হন তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁকে বলতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সুদীপ বলেন, 'আমাদের স্পষ্ট দাবি, জীবনবিমার যে প্রিমিয়ার আর ওষুধের মূল্য, তারপর GST প্রত্যাহার করতে হবে। যতদূর যাওয়া সম্ভব,আমরা লড়াই চালিয়ে যাব'।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট মমতা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার যদি জনবিরোধী এই GST প্রত্যাহার না করে, তাহলে পথে নামতে বাধ্য হব'। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, 'জিএসটি কোনটার উপর ৫ শতাংশ থাকবে, ১২ শতাংশ থাকবে, ১৮ শতাংশ থাকবে, আর কোনটার উপরে থাকবেই না, জিরো শতাংশ থাকবে, সেটা ঠিক হয় কোথায়? জিএসটি কাউন্সিলে। জিএসটি বৈঠকে কারা যোগ দেয়? কারা সদস্য? প্রত্যেক রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। আমাদের রাজ্যের অর্থমন্ত্রী, যিনি কয়েকদিন এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি এই দাবি তুলেছিলেন'? বলেন, 'ইন্ডিয়া জোটের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে বলুন। এই প্রস্তাবটা কাউন্সিলের দিক। প্ল্যাটফর্ম তো রাজ্যসভা কিংবা লোকসভা নয়। মানুষকে বোকা বানানোর আর একটা চক্রান্ত হচ্ছে'।
এদিকে বিমা GST নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে মোদী মন্ত্রিসভার অন্দরেও! কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ারে GST প্রত্যাহার আর্জি জানিয়েছিলেন মোদী সরকারেরই মন্ত্রী, প্রবীণ বিজেপি নেতা নীতীন গডকড়ি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, 'বিষয়টি যেন বিবেচনা করা হয়। এর ফলে শুধু বয়স্ক নাগরিকরাই নন, বিমার অসংখ্য় গ্রাহকও উপকৃত হবেন'।