পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ন্যায় দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ ধাম। মন্দির নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এ বছর রথযাত্রা উৎসবের সময় মন্দির জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও পরে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিরের একাধিক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। পাখির চোখে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ড্রোন ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমধ্যমে। মুহূর্তে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল নেট নাগরিকদের মধ্যে।দিঘাকে আরও আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছিল একগুচ্ছ পরিকল্পনা। এমন একাধিক কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। যার অন্যতম জগন্নাথধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র। ওল্ড দিঘার জগন্নাথ ঘাটের জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে জগন্নাথ তীর্থক্ষেত্র গড়ে তুলতে তৎপর হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব থাকায় বিকল্প হিসেবে পরবর্তী সময়ে বেছে নেওয়া হয় স্টেশন লাগোয়া বিস্তীর্ণ উঁচু বালিয়াড়ির ভগিব্রহ্মপুর মৌজাকে। সেখানেই ২৫ একর জমির ওপর গড়ে উঠছে প্রস্তাবিত জগন্নাথধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অনুকরণে নির্মিত হবে অনিন্দ্যসুন্দর মন্দির। যা সংস্কৃতির আধুনিক প্রতীক হয়ে উঠবে সমগ্র দিঘার। নকশা চূড়ান্ত হওয়ার পর হিডকোর তদারকিতে গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল মন্দিরের জন্য সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ। ১২৮ কোটি টাকার পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প ব্যয় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'ওয়েস্ট বেঙ্গল উইথ রোহিত' নামে ফেসবুক পেজে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে।
এক দশকে নানাভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি ঘটেছে সৈকত সুন্দরীর। কিন্তু গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডবে কার্যত ধ্বংসপুরীতে পরিণত হয়েছিল গোটা সৈকত শহর। ১৩ কোটি টাকা খরচে সেই ক্ষত সংস্কারের কাজ এখন প্রায় সম্পূর্ণের পথে। পাশাপশি, দ্রুত গতিতে চলছে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজও। মন্দির নির্মাণে ব্যবহার হচ্ছে রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুরের বালিপাথর। মন্দিরের মূল অংশটির উচ্চতা হবে 65 মিটার।
মন্দিরে জগন্নাথ দেবের মূর্তি ইতিমধ্যেই নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর। রাজস্থানের শিল্পীরা এই মূর্তি তৈরি করেছেন। খোদ মুখ্য়মন্ত্রী এই ছবি পছন্দ করেছিলেন। তারপর তা রাজস্থানে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মূর্তি এসেছে। ধাপে ধাপে মন্দিরের স্তম্ভ তৈরি করা হচ্ছে।