• চোখের সমস্যায় পেটের ড্রপ দিলেন ফার্মাসিস্ট!
    এই সময় | ০৩ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়, ঝাড়গ্রাম: চোখের সমস্যায় বাচ্চাদের পেট খারাপের ওষুধ! হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট ভুল ওষুধ দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছিলেন প্রৌঢ়া। পরে বাইরের দোকানে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন, চোখের সমস্যায় যে ড্রপ দিচ্ছেন, তা আসলে পেট খারাপের ওষুধ। শুক্রবার ঘটনার কথা সংবাদমাধ্যমে জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।রোগীর নাম হাসি দাস। ষাট বছরের ওই প্রৌঢ়া ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকাননের শিরীষচক এলাকার বাসিন্দা। চোখে আবছা দেখার সমস্যা নিয়ে গত ১৩ জুন ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে গিয়েছিলেন তিনি। পরীক্ষা করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ কিছু ওষুধ প্রেসক্রাইব করে দেন।

    প্রৌঢ়া বলেন, ‘প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে হাসপাতালের ওষুধ কাউন্টার থেকে ওষুধ নিই। দোকান থেকে দেওয়া ড্রপ দিতেই প্রচন্ড চোখ জ্বালা শুরু হয়। ফলে গত ১৯ জুন আবার হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তার দেখাই। ডাক্তারবাবুকে ওষুধটাও দেখাই। তিনি শুধু বলেন, ওই ড্রপটা আর লাগাতে হবে না। সন্দেহ হওয়ায় আমি বাইরের ওষুধের দোকানে ওই ড্রপটা দেখিয়ে জানতে পারি, এটা শিশুদের পেটের সমস্যার জন্য ড্রপ। এর পরে সমস্যার কথা হাসপাতালের কমপ্লেন্ট বক্সে লিখিত ভাবে জানিয়ে আসি।’

    তাতে কোনও সুরাহা না হওয়ায় ঝাড়গ্রামের জেলাশাসকের কাছে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান তিনি। এ দিন বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে জানাজানি হওয়ার পরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি অনুরূপ পাখিরা বলেন, ‘ওই রোগী তাঁর অভিযোগ হাসপাতালের কমপ্লেন্ট বক্সে জমা দিয়ে গিয়েছিলেন। যার ফলে বিষয়টি প্রথমে কারও নজরে আসেনি।

    কারণ হাসপাতালের কমপ্লেন্ট বক্সটি প্রতি সপ্তাহে খোলা হয়। তাই একটু দেরি হয়েছে। বিষয়টি জানার পরই পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    ‘ভুল ওষুধের জেরে প্রৌঢ়ার চোখে যে বড়সড় সমস্যা হয়নি, এটাই রক্ষে’, বলছেন এমএসভিপি।
  • Link to this news (এই সময়)