কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ TMCP-র, মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী
প্রতিদিন | ০৩ আগস্ট ২০২৪
দিপালী সেন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠক ও অস্থায়ী উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অস্থায়ী উপাচার্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা উচিত নয় বলে জানালেন ব্রাত্য। পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, ছাত্রছাত্রীরা যে কথা বলছেন তা তিনি ভুল বলে মনে করেন না। শনিবার ব্রাত্য বলেন, “ছাত্ররা কী করেছেন আমি বলতে পারব না। গণমাধ্যমে যা দেখেছি, যে প্রশ্ন তাঁরা তুলছিলেন তা ভুল নয়। যাঁরা উপাচার্যের নাম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বৈঠককে ‘অবৈধ’ তকমা দিয়ে শুক্রবার প্রতিবাদ করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রছাত্রীরা। অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে-সহ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ঘেরাও করেন টিএমসিপির সদস্যরা। বাইরে বিক্ষোভ চললেও, ভিতরে আগেই প্রবেশ করা সদস্যদের নিয়ে সিন্ডিকেট বৈঠক করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য। বৈঠক শেষ হলেও গেটে তালা থাকায় ভিতরেই আটকা পড়েন তাঁরা। রাতেই জোড়াসাঁকো থানায় খবর দেন উপাচার্য। রাত ১২টা নাগাদ পুলিশ তালা খুলিয়ে কর্ডন করে বের করে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ সকলকে।
শুক্রবার ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য জানান, যাঁরা প্রতিবাদ করছেন তাঁরা বহিরাগত। তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলছেন। সেই বিষয়ে ব্রাত্যকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা উচিত নয়। এখনও সরকারি নীল গাড়ি ব্যবহার করছেন। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাঁরা সরকারি স্তরের সাহায্য নিচ্ছেন, আশা করি আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল, স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় দপ্তরের অনুমতি ছাড়া সিন্ডিকেট বৈঠক করলে তা আইনের বিরুদ্ধে কাজ হবে। কিন্তু, বৈঠক বাতিল করেননি অন্তর্বর্তী উপাচার্য। এটাই প্রথমবার নয়। এর আগে একাধিকবার সিন্ডিকেট বৈঠক করেছিলেন উপাচার্য। সেই বৈঠকগুলিতেও অনুমতি দেয়নি উচ্চশিক্ষা দপ্তর। প্রতিবারই সিন্ডিকেট বৈঠকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপির সমর্থক পড়ুয়ারা। এবার বিক্ষোভ দেখান তাঁঁরা।