সরকারি বৈঠক যেন রণক্ষেত্র, BDOকে উদ্দেশ করে গালি, বোতল ছুড়ে মারলেন TMC নেতা
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ আগস্ট ২০২৪
বিডিও অফিসের ভিতর সরকারি বৈঠকে বিডিওকে গালিগালাজ ও বোতল ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা ২ নম্বর বিডিও অফিসে উত্তেজনা ছড়ায়। পালটা বিডিওর বিরুদ্ধেই জেলাশাসক ও দলের কাছে অভিযোগ করেছেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এব্যাপারে মুখ খোলেননি বিডিও বা অন্য কোনও সরকারি আধিকারিক।
পড়তে থাকুন - বারো বছরের পুরনো ঘটনায় নবদ্বীপে ইসকনের প্রাক্তন আধিকারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ
জানা গিয়েছে, বুধবার বিডিও অফিসে টেন্ডার নিয়ে একটি বৈঠক চলছিল। বৈঠক চলাকালীন বিডিও সীতাংশুশেখর শিটের সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির তুমুল বচসা হয়। তখনই বিডিওকে গালিগালাজ করেন রতন দাস। এমনকী হাতের কাছে থাকা জলের বোতল ছুড়ে মারেন বিডিওকে উদ্দেশ করে। যদিও বোতল বিডিওর গায়ে লাগেনি। বোতল লাগে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের গায়ে। তিনিই বাইরে এসে ঘটনার কথা জানান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। রতনবাবু বলেন, ‘আমাদের একটা টেন্ডার অনেক দিন ধরে আটকে রয়েছে। সেটা নিয়ে বিডিওকে তৎপর হতে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, ওসব আপনাকে ভাবতে হবে না। এর পর আমাকে নানা ভাবে অপমান করেন তিনি। আমার চেয়ারের সামনে উঠে এসে আজে বাজে বলতে থাকেন। এউ লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে আমি জলের বোতল ছুড়ে মারি।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার সাহস একজন বিডিও পান কী করে।’
এর পরই বিডিওর বিরুদ্ধে জেলাশাসক ও দলীয় নেতৃত্বকে চিঠি লেখেন তিনি। চিঠিতে গোটা ঘটনার কথা উল্লেখ করে রতনবাবু দাবি করেছেন, বিডিও মত্ত অবস্থায় অফিসে আসেন। দফতরের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তিনি।
ওদিকে বিডিও - পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দ্বন্দে হাবরা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কাজ কর্ম শিকেয় ওঠার দশা। ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাপরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, ‘বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মধ্যে এই বিবাদ অভিপ্রেত নয়। তাদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে থাকলে উপযুক্ত তদন্ত করতে বলব। তবে একজন সরকারি আধিকারিক জনপ্রতিনিধির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে পারেন না।’