কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব, ক্ষতিগ্রস্ত হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা
এই সময় | ০৪ আগস্ট ২০২৪
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এর মধ্যেই কয়েক মিনিটের জন্য বিধ্বংসী ঝড় হুগলি জেলার তারকেশ্বরে। ঝড়ের তাণ্ডবে তারকেশ্বর ও ধনেখালির বেশ কয়েকটি গ্রাম তছনছ হয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক বাড়ি। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ একটি ঘূর্ণিঝড় লক্ষ্য করা যায় তারকেশ্বরের দামোদর সংলগ্ন জিয়ারা গ্রামে। তারকেশ্বরের জিয়ারা গ্রাম থেকে শুরু হয় ঘূর্ণি ঝড়। শক্তি ক্ষয় হতে হতে ধনেখালির নিশ্চিন্তপুর হয়ে বর্ধমানের দিক সরে যায়। ঘূর্ণি ঝড়ের প্রভাবে জিয়ারা গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও নিশ্চিন্তপুর, হবিবপুর মোহন পুর হয়ে সোনাগরিয়ার দিকে দুর্বল হতে হতে সরে যায় ঘূর্ণি ঝড়। ক্ষণিকের এই ঝড়ের প্রভাবে ভেঙে পড়ে একাধিক গাছ ও ঘর-বাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব কুমার দাস বলেন, ‘কয়েক মিনিটের ঝড় লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গিয়েছে গোটা এলাকা। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে। চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’
স্থানীয়দের কথায়, প্রথমে একটা দমকা হাওয়া আসে। তারপরেই নীচ থেকে গোলাকৃতি করে উপরে দিকে উড়তে থাকে। তাতেই গাছের ডাল সব ভেঙে যায়। বেশ কয়েকটা বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। একাধিক বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে চাষের জমিরও।
সন্তোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজকুমার সাঁতরা বলেন, ‘সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ঝড় শুরু হয়। আমি পঞ্চায়েতে ছিলাম, তখন বাড়ি থেকে ফোন করা হয়।’ তিনি জানান, সন্তোষপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া এলাকার প্রায় কুড়িটি বাড়ির ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। পনেরোটা বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তর, দমকল ও পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এই মুহূর্তে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এমনিতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। গত দুদিন ধরে হুগলি জেলাতেও লাগাতার বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবারের পর রবিবারও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। এর মাঝেই এই ঝড়ের তাণ্ডবে অসহায় অবস্থা গ্রামবাসীদের।