• ভারি বৃষ্টির দোসর টর্নেডো, ক্ষণিকের মধ্যে তছনছ হুগলির একাধিক গ্রাম, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ...
    আজকাল | ০৪ আগস্ট ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে লন্ডভন্ড হয়ে গেল তারকেশ্বর এবং সংলগ্ন ধনেখালির বেশ কয়েকটি গ্রাম। ভারি বৃষ্টির পর টর্নেডোর জেরে একাধিক বাড়ির চালা উড়ে যায়। ভেঙেও পড়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি। দুমড়ে মুচড়ে উপড়ে পড়ে একাধিক ছোট বড় গাছ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল, পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

    শনিবার, ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধ্যা ৬টা। তারকেশ্বরের দামোদর নদ সংলগ্ন জিয়ারা গ্রামের মেঘলা আকাশে হঠাৎ তার দেখা মেলে। দূর থেকে গ্রামবাসীরা দেখতে পায় সরু হয়ে পাকিয়ে আকাশে উঠছিল ঝড়ের মত একটা কিছু। আশেপাশে খড়কুটোর মতো অনেক কিছুই উড়ছিল। কিছুটা কাছে আসার পর সকলে বুঝতে পারেন ওটা টর্নেডো।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এদিন সন্ধ্যায় তারকেশ্বরের জিয়ারা গ্রাম থেকে টর্নেডোর সূত্রপাত ঘটে। শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়। কয়েক মিনিটে তছনছ হয়ে যায় জিয়ারা গ্রাম। ধীরে ধীরে টর্নেডো এগিয়ে যায় ধনেখালির দিকে। অবশেষে শক্তি কমে আসে। ধনিয়াখালির নিশ্চিন্তপুর হয়ে বর্ধমানের দিক সরে যায় টর্নেডো। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্ষণিকের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারকেশ্বরের জিয়ারা গ্রাম। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধনেখালির নিশ্চিন্তপুর, হবিবপুর, মোহনপুর। পরে সোনাগরিয়ার দিকে সরে যায় ঘূর্ণিঝড়। যার প্রভাবে ভেঙে পড়ে একাধিক গাছ পালা এবং ঘর বাড়ি। উপড়ে পরে বিদ্যুতের খুঁটি। ছিঁড়ে পরে বিদ্যুতের তার।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে একটা ঝড় পাক দিয়ে উঠল। এরপর নিমিষে সব তছনছ করে দিয়ে চলে গেল। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেক। অনেক বাড়ির টিনের চাল, খরের চাল গাছ ইত্যাদি খড়কুটোর মতো ঝড়ের দাপটে আকাশে উড়তে দেখা গেছে। এই প্রসঙ্গে সন্তোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রাজকুমার সাঁতরা বলেছেন, সন্তোষপুরে প্রায় কুড়িটা বাড়ির চাল উড়ে গেছে, পনেরোটা বড় বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় উদ্ধার কার্য শুরু হয়েছে।

    ছবি পার্থ রাহা।
  • Link to this news (আজকাল)