• বৃষ্টি হলেই জলবন্দি! কাঠগড়ায় স্থানীয় কাউন্সিলর
    আজকাল | ০৪ আগস্ট ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি : বর্ষা বলে নয়, শীত গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই একই অবস্থা। একটু ভারী বৃষ্টি হলেই এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। বারবার একই অবস্থা হয়। ভোটের সময় কাউন্সিলর ভোট চাইতে আসে। এলাকা জলে ডুবে গেলে আর তাঁর দেখা পাওয়া যায়না। বর্ষার সময় ভোট হলে কাউন্সিলর ভোট চাইতে আসবেন কিনা সন্দেহ। এমনই বক্তব্য হুগলি চুঁচুড়া পীরতলা এলাকার বাসিন্দাদের।

    হুগলি চু়ঁচুড়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। অভিযোগ, দেখা নেই কাউন্সিলরের। অধিকাংশ এলাকায় রাস্তা ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়েছে বাড়িতে। পীরতলার বাসিন্দাদের অভিযোগ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পুরসভার তরফে কাউন্সিলরের কোনও উদ্যোগ নেই। সায়রা মোর, পিয়ারাবাগান, সেগুনবাগান, গোরোস্থানের জল পীরতলা দিয়ে বয়ে যায়। এক সময় সেখানে বড় হাইড্রেন ছিল। বর্তমানে সেটা থাকলেও সংকীর্ণ হয়ে গেছে। জল বহন ক্ষমতা অনেকটাই কমেছে। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার জল নিকাশি প্রায় বন্ধ। বৃষ্টি হলেই ভুগতে হয় বাসিন্দাদের। চওড়া গভীর ড্রেন করে নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে দাবী বাসিন্দাদের।

    স্থানীয় দীলিপ পাল বলেছেন, পীরতলায় বড় দুর্গাপুজো হয়। প্রতিবছর বৃষ্টির জন্য পুজো কমিটিকে সমস্যায় পড়তে হয়। জল জমে থাকায় পুজো দেখতে কেউ আসতে চায়না। যে মাঠে পুজো হয় সেখানে কাঠ দিয়ে প্লাটফর্ম করতে হয়। ফলে পুজোর খরচ অনেকটাই বাড়ে। স্থানীয় মনোরঞ্জন মল্লিক বলেছেন, বছরে বারোদিনও নর্দমা পরিষ্কার হয়না। কাউন্সিলরের দেখা নেই। কাকে বলবেন। গৌতম সাহা বলেন, পীরতলার সমস্যা পাকাপাকিভাবে মেটাতে হবে। তাই বিষয়টি এলাকাগতভাবে সাংসদকে জানানো হবে। ভোটের সময় কাউন্সিলর ভোট চাইতে আসে। জল জমলে তার দেখা পাওয়া যায়না। শুধু পীরতলা নয় সঙ্গে ধরমপুর, ইঞ্জিনিয়ার বাগান, নবাব বাগান সহ একাধিক এলাকার নিকাশি বেহাল। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয় বাসিন্দাদের।  
  • Link to this news (আজকাল)