যদিও এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নৌকায় বড় গাড়ি যাতায়াত করতে না পারলেও সাইকেল ও বাইক চলে যাচ্ছে। কিন্তু বাস থেকে শুরু করে বড় গাড়ি যাতায়াত করতে না পারায় যোগাযোগ পুরোপুরি স্থাপন করা যায়নি। হেঁটে ও সাইকেল ও বাইকে যাতায়াত করতে পারলেও নদীর দু'পাড়ে দুটি নৌকা মজুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে যাতে ব্যবহার করা যায়।
ডেবরার ব্লক পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শীতেশ ধাড়া (তৃণমূল নেতা) বলেন, "অস্থায়ী সেতু (রাস্তা) ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে পরে দুটি নৌকা মজুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"
জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে রোগী থেকে শুরু করে স্কুলের স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের। এঁরা বাসে চেপে পারাপার হন। সেতু ভেঙে যাওয়ায় বাসগুলিকে ডেবরার দিকে ট্যাবাগেড়িয়া ঘাটে দাঁড়িয়ে যেতে হচ্ছে। ফলে যাঁদের নদীর অপর পাড়ে গিয়ে ভরতপুর বা ভবানীপুর-সত্যপুর যেতে হচ্ছে, তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। বাস থেকে নেমে হেঁটে নৌকায় উঠে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হয়ে মকারিমপুর গিয়ে ফের টোটো ধরতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বহু বছর ধরে ডেবরার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের দাবি, ট্যাবাগেড়িয়া ঘাট থেকে মকারিমপুর ঘাট পর্যন্ত কংসাবতী নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। কিন্তু সেই দাবি আজও পূরণ হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, ভোট আসে, ভোট যায়। শুধুই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, কাজের কাজ কিছু হয় না। তাই দ্রুত পাকা সেতু তৈরির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস। তিনি বলেন, একটা চোরেদের সরকার ও প্রশাসন চলছে। এখান থেকে উন্নয়নমূলক কিছু পাবেন না। মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভুল বুঝিয়ে এরা ক্ষমতায় আসবে, তারপর কোটি কোটি টাকা চুরি করবে। ট্যাবাগেড়িয়ায় অস্থায়ী সেতু এবং রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু ওখানকার স্থানীয় প্রশাসনের এতে কোনও হেলদোল নেই। ওই তিনটি অঞ্চলের মানুষ কী ভাবে যাতায়াত করবেন? এখন তাঁদের নৌকাই ভরসা। কিন্তু তা নিয়ে প্রশাসনের কোনও মাথা ব্যাথা নেই। তাদের একটাই চিন্তা, কীভাবে কাটমানি নেওয়া যায়। কীভাবে দুর্নীতি করা যায়!