স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রাহকদের সুবিধার্থে শহর ও গ্রামের জনবহুল স্থানে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে বা কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট তৈরি করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। দেগঙ্গার গোঁসাইপুর বাজারেও তেমনই একটি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে রয়েছে। ব্যাঙ্কে না গিয়ে গ্রাহকরা এই কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে এসে লেনদেন করে থাকেন। দিনের শেষে কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্মী গিয়ে গ্রাহকদের জমা দেওয়া টাকা ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দেন।
এদিন দুপুরে গোঁসাইপুর বাজারের ওই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের কর্মী মুন্সি আশানুর জামাল কালেকশনের টাকা ব্যাগে নিয়ে হেঁটে হাড়োয়া রোড ধরে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, কিছুটা যাওয়ার পর ফাঁকা জায়গায় আসতেই একটি বাইকে দুই দুষ্কৃতী এসে তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যাগভর্তি টাকা ছিনতাই করে। দুষ্কৃতীদের ধরতে কিছুটা পথ ধাওয়াও করেছিলেন আশানুর। কিন্তু দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ধরলে তিনি পিছিয়ে আসেন। তখন বাইকের গতি বাড়িয়ে হাড়োয়া রোড ধরেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই খবর জানাজানি হতেই গ্রামে শোরগোল পরে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের কর্মী মুন্সি আশানুর জামাল জানান, “প্রতিদিনের মত এদিনও কালেকশন নিয়ে ব্যাঙ্কে জমা করতে যাচ্ছিলাম। ব্যাগে ১০ লক্ষ ৩৭হাজার টাকা ছিল। পুরোটাই লুট করে চম্পট দিয়েছে দুই দুষ্কৃতী। আমার ধারণা দুষ্কৃতীরা আগে থেকে আমায় ফলো করেছিল। দুজনের মুখেই মাস্ক পরা ছিল।” যদিও দেগঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের ওই কর্মী ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে দাবি করলেও উনি ১ লক্ষ টাকার হিসেব দিতে পেরেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।