‘বেআইনি করে হলেও চাকরি তো হয়েছে’, নিয়োগ দুর্নীতির প্রশ্নে বিস্ফোরক জবাব মদনের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ আগস্ট ২০২৪
নিয়োগ দুর্নীতিতে সোচ্চার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। যদিও লোকসভা ভোটে কোনও প্রভাব ফেলেনি এই ইস্যু। তবে এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই–ইডি। লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জোর আলোড়ন পড়েছে রাজ্যে। সক্রিয় হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে। বাংলায় শুধু শিক্ষক নিয়োগেই দুর্নীতি হয়েছে এমন নয়, রাজ্যের একাধিক পুরসভার নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি। আর তার মধ্যে বেআইনি নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক কথা বললেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। যা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। যেখানে একাধিক দাবি করেছেন ইডি–সিবিআইয়ের আইনজীবীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়–সহ অনেকেই এখন জেলবন্দি। কয়েকটি পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছেন। দক্ষিণ দমদম থেকে শুরু করে কামারহাটি পুরসভা এখন তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু রায়কে নিয়েও তথ্য পেশ করা হয়েছে চার্জশিটে। এই আবহে কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র আজ বলেন, ‘বেআইনি করে হলেও চাকরি তো হয়েছে। ছেলেরা খেতে পাচ্ছে দু’টো।’ এই মন্তব্যই এখন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
এই নিয়োগ দুর্নীতির সবটা সত্য এমন নয়। তাই আদালতে অনেক সময়ই ভর্ৎসনা শুনতে হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীকে। তবে কিছু তথ্য সঠিক হওয়ায় চলছে তদন্ত। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ গ্রেফতার হন অয়ন শীল। আর অনেকেই এখন নজরে রয়েছেন গোয়েন্দাদের। সুতরাং রাজ্যে এখনও সম্পূর্ণ স্বস্তি আসেনি। এমনকী প্রশ্ন উঠেছে কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগ নিয়েও। এই কামারহাটি পুরসভা পড়ে কামারহাটি বিধানসভার মধ্যে। যার বিধায়ক স্বয়ং মদন মিত্র। এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মদন মিত্রকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি এমন একজন বিধায়ক জীবনে পুরসভার কোনও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি। নিজের নাকও গলাইনি। এটা আমার বিষয় নয়।’
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির কথা এড়িয়ে গেলেও বিধানসভা কেন্দ্রটি তাঁর। তাই সবটা তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না। যদিও মদন মিত্রের কথায়, ‘পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে আমি কিছু বলতেই পারব না। যদি কোনও বেআইনি হয়ে থাকে সেটা অন্যায়। তবে বেআইনি করে হলেও চাকরি তো হয়েছে। ছেলেরা দু’টো খেতে তো পাচ্ছে। বেকারত্বের জ্বালা থেকে আমি এটা ফিল করছি। তবে অন্যায়টা অন্যায়ই। আমি একজন বিধায়ক, আমি তো অন্যায়কে ন্যায় বলতে পারব না। তবে আমার কামারহাটি নিয়ে এটুকু বলতে পারি, আমার কাছে আর্থিক লেনদেন নিয়ে কেউ কোনও অভিযোগ করেনি।’