• জীবনের 'অলিম্পিক'-এ জিততে চায় এই হোম আবাসিকরা, দেখে এল 'চান্দু চ্যাম্পিয়ন'...
    আজকাল | ০৪ আগস্ট ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওদের জীবনে নেই বাবা-মা। নেই পিসি-মাসি বা দাদা-দিদিরা। তাই ইচ্ছে থাকলেও হাত ধরে সিনেমাহলে নিয়ে যাওয়ার কেউ নেই। ইচ্ছে ছিল একদিন সিনেমাহলে গিয়ে ছবি দেখবে। ইচ্ছাপূরণ হল। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের বামচান্দাইপুর গ্রামের সরকারি হোমের আবাসিক ৫০ জন নাবালিকা ও কিশোরীকে দেখানো হল 'চান্দু চ্যাম্পিয়ন'। আনন্দের হিল্লোল সকলের মধ্যে। 'বদ্ধ' জীবনে এল ছুটির স্বাদ।

    আবদার রেখেছিল হোমের ম্যাডামের কাছে। যা পৌঁছয় পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, সহ-সভাধিপতি গার্গী নাহা-সহ আরও কয়েকজনের কানে। ব্যবস্থাও হয়ে যায় তড়িঘড়ি। স্থানীয় সংস্কৃতি মেট্রোতে চলছে চান্দু চ্যাম্পিয়ন ছবিটি। হল কর্তৃপক্ষকে বলা হলে তাঁরাও সানন্দে রাজি হন খুদেদের এই আবদার মেটাতে।‌ ছবিটি স্পেশাল স্ক্রিনিং করা হয়। আবাসিকদের নিয়ে যাওয়া হয় সংস্কৃতি লোকমঞ্চে।

    যেখানে ছবি শুরু হওয়ার আগে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল ও চকোলেট। খাওয়ানো হয় বিরিয়ানি। খুদেরাও তাদের তৈরি কিছু উপহার তুলে দেয় উপস্থিত কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের কর্তাদের হাতে। শুরু হল ছবি। যা দেখে ডগমগ ওরা।

    জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'যেভাবে সভাধিপতি-সহ গোটা জেলা পরিষদের কর্তারা এগিয়ে এসেছেন তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।' এই হোমে শিশু ও কিশোরীরা ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত থাকতে পারবে। ওদের যাতে প্রশিক্ষণ দিয়ে ভবিষ্যৎ জীবনে চলার রাস্তা সুগম করে দেওয়া যায় সেই দাবিও উঠল। আশ্বাস দিলেন সভাধিপতি। দাবি বিবেচনা করার।
  • Link to this news (আজকাল)