অর্ণব আইচ: আনন্দপুরে পানশালায় ভাঙচুরে ধৃত আরও ২। শনিবার রাতে আনন্দপুর থানা চত্বর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে পানশালা ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরে হামলা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজন হলেন সৌগত সেনগুপ্ত এবং সুশান্ত ঘোষ ওরফে লম্বু। রাত ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পোড়া বসতি এলাকায় হানা দেয় আনন্দপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকে সৌগতকে গ্রেপ্তার করে। তার আগেই অবশ্য খাল পাড়ে অভিযান চালিয়ে সুশান্তকে গ্রেপ্তার করেছিল তারা। দুজকেই রবিবার আদালতে তোলা হবে। দুজনেই ভাঙচুরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে খবর। ইতিপূর্বে আনন্দপুরে পোড়াবস্তির বাসিন্দা দীপঙ্কর দাস (৩৬) এবং মহিন্দ্রপ্রসাদ গুপ্ত (৩৫) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আনন্দপুরের (Anandapur) পানশালায় একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। পানশালার বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ম্যানেজার-সহ কর্মীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে দেওয়া হয় পানশালার সিসিটিভি ক্যামেরাও। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রাতভর পানশালার বাইরে বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পানশালা বন্ধের সময় হয়ে এসেছিল। অভিযুক্ত যুবকরা পানশালা খোলা রাখতে জোর দেয়। কর্মীরা আপত্তি করলে তাঁদের উপর হামলা করে এবং ভাঙচুর চালায়। যদিও সূত্রে খবর, এই পানশালায় নিয়মিত আসত যুবকরা। কিছুদিন আগে বাউন্সারকে মারধর করা হয়েছিল। সেই ঘটনার জেরে হামলা বলে অনুমান। ধৃতদের জেরা করে পানশালায় হামলার কারণ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরে হামলা করা হয়েছে।