• রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও আরও ১ লাখ ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি
    এই সময় | ০৪ আগস্ট ২০২৪
  • ফের একবার রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়ার অভিযোগ উঠেছিল ডিভিসি-র বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে নবান্নে একটি জরুরি বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্যকে না জানিয়েই গত ৪৮ ঘণ্টায় প্রচুর পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে।' নতুন করে আরও এক লাখ কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল রাজ্য। এর ফলে বাংলায় বিপদের আশঙ্কা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল আলাপনকে।কিন্তু, রবিবার নতুন করে জল ছাড়ছে ডিভিসি। এ দিন সকালে মাইথন জলাধার থেকে ছয় হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। তবে তা অস্বাভাবিক নয়। কারণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এই পরিমাণ জল নিয়মিত ছাড়া হয়। তবে স্বাভাবিকের থেকে বেশি জল ছেড়েছে পাঞ্চেত। সেখান থেকে ১ লাখ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে সকালে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত পাঞ্চেত এবং মাইথন মিলিয়ে মোট জল ছাড়া হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার কিউসেক।

    প্রসঙ্গত, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে যে জল ছাড়া হয় তা দামোদর দুর্গাপুর ব্যারেজে জমা হয়ে থাকে। সেখানে একেবারে এত পরিমাণ জল জমা হওয়ার কারণে তারাও জল ছাড়তে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, সকাল ৯টা পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৯২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যদি বৃষ্টি নতুন করে না হয় সেক্ষেত্রে জল হয়তো আর ছাড়া হবে না। কিন্তু, হাওয়া বদল না হলে তা সাধারণ মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

    শনিবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেন। ৫ এবং ৬ তারিখ কটালের কারণে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার কথাও বলা হয়েছে। রাজ্যের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

    ইতিমধ্যেই টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। বর্ধমান, হাওড়া, বীরভূমের কিছু অংশে জল জমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এদিকে নতুন করে হাওয়া বদলের সম্ভাবনাও খুব একটা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী সাত দিন উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
  • Link to this news (এই সময়)