এই সময়: এক দশক আগে বিএড-উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ব্রিজ কোর্স বাধ্যতামূলক করছিল সর্বভারতীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিই। কিন্তু এতদিনেও এ রাজ্যে সেই কোর্স চালু করতে পারেনি তারা। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদও ওই কোর্স চালুর ব্যাপারে পদক্ষেপ করেনি। কয়েক জন প্রাথমিক শিক্ষকের মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্ট ব্রিজ কোর্স এতদিনেও চালু না হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল।একই সঙ্গে এই কোর্সের বাস্তব কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। এই কোর্স না করা কয়েক হাজার বিএড-উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষককে রাজ্য নিজেদের দায়িত্বে এ-ক্যাটিগরির শিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত করে উচ্চ স্কেলে বেতন দেওয়ায় বৈষম্যের অভিযোগও উঠেছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ব্রিজ কোর্স না করা সত্ত্বেও যদি রাজ্য ৩,৪৪৬ জনকে নিজেদের দায়িত্বে এ স্কেলে বেতন দিতে পারে, তা হলে মামলাকারীদেরও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।
তাঁদেরও এ-ক্যাটিগরির শিক্ষক গণ্য করে উচ্চ স্কেলে বেতন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ওয়ালিউর রহমান-সহ একদল বিএড-উত্তীর্ণ প্রাথমিক শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা করে অভিযোগ করেন, কিছু শিক্ষক তাঁদের সমগোত্রীয় হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য তাঁদের উচ্চ হারে বেতন দিচ্ছে। রাজ্য আদালতে স্বীকার করে, প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষক ব্রিজ কোর্স না করেও উচ্চ হারে বেতন পান।
আদালতের বক্তব্য, যাঁরা এতদিন উচ্চ হারে বেতন পাচ্ছেন, তাঁদের সেই বেতন রাজ্য ফেরাবে কিনা তা তাদেরই ঠিক করতে হবে। কিন্তু সে জন্যে বাকিদের বঞ্চিত করা যাবে না। তাই মামলাকারীদেরও এ-ক্যাটিগরির শিক্ষক ধরে বেতন দিতে হবে। কিন্তু কেন এতদিনেও রাজ্যে ব্রিজ কোর্স চালুর ব্যবস্থা হয়নি, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে হাইকোর্ট।