মূলত ৮ আগস্ট ঝাড়গ্রামে পৌঁছাবেন মমতা। রাতে থাকবেন ঝাড়গ্রাম টুরিস্ট কমপ্লেক্স -এ। তারপর ৯ অগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সূত্রের খবর, বিভিন্ন জনজাতি সংগঠনের প্রতিনিধিদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, গত বছর বিশ্ব আদিবাসী দিবসের আগের দিন ঝাড়গ্রামে বিভিন্ন জনজাতি এবং কুড়মি সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার অবশ্য তেমন সম্ভাবনার কথা শোনা যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এবারে ঝাড়গ্রাম শুধু তৃণমূলেই আস্থা রেখেছে, ১ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন। এমনকি গত বছর ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোটেও ঝাড়গ্রামে ভাল ফল করেছিল তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবে মুখ্যমন্ত্রী এবারে জয়ের পুরস্কার স্বরূপ জঙ্গলমহল নিয়ে নতুন কিছু ঘোষণা করেন কি না তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সাংসদ কালীপদ সরেন ইতিমধ্যেই লোকসভায় জঙ্গলমহলের রেলের দাবি নিয়ে সরব হয়েছেন। বুধবার থেকেই ঝাড়গ্রাম শহরে ৯ আগষ্টের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা শুরু করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সম্প্রতি আদিবাসী নেগাচারী কুড়মি সমাজ আদিবাসী কুড়মি সমাজের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বিষয়টি নজরে রেখেছে নবান্ন। কারণ, কুড়মিদের জাতিসত্তার দাবিতে ২০ সেপ্টেম্বর রেল ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে অজিতপ্রসাদ মাহাতোর নেতৃত্বাধীন আদিবাসী কুড়মি সমাজ। লোকসভা ভোটের আগে কুড়মিদের নিয়ে রাজ্যের তরফে সমীক্ষার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের ইস্তাহারেও কুড়মিদের জাতিসত্তার দাবি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে লোকসভা ভোটে আদিবাসী কুড়মি সমাজ ও সাবেক নেগাচারীরা ঝাড়গ্রাম আসনে পৃথক প্রার্থী দিলেও দু’জনেরই জামানত জব্দ হয়। ফলে, ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে কুড়মিদের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী অবস্থান নেন, তা জরুরি। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কেবল এক উৎসবের আনন্দ নয়, পাশাপাশি অনুষ্ঠানে মমতার দেওয়া বার্তায় থাকবে বৃহৎ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।