নকিব উদ্দীন গাজি: উত্তাল সাগর বকখালি মৌসুনিতে। এ অঞ্চলের স্থানীয় মানুষজন এবং পর্যটকদের উদ্দেশ্যে তাই চলছে নিয়ত মাইকিং। মৎস্যজীবীদের জন্যও সতর্কবার্তা দিচ্ছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, অমাবস্যার কোটালের জেরে ফুলে-ফেঁপে উঠছে সমুদ্রের জলস্তর। অন্য দিকে, দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে বানভাসি গঙ্গাসাগরের অনেক এলাকা, তার উপর অমাবস্যার কোটালের জেরে জল বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রবল। যার জেরে আবারও নতুন করে ভাঙতে পারে গঙ্গাসাগর এলাকার নদীবাঁধ।
ইতিমধ্যেই সাগর ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যেখানে সমস্ত বিষয়ের উপরই প্রয়োজনীয় নজর রাখছে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের স্পেশাল একটি টিম। অন্য দিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দির-সংলগ্ন সমুদ্রতটেও চলছে মাইকিং করে সতর্কতা প্রচার। এটা করা হচ্ছে, যাতে কোনও পর্যটক বা পুণ্যার্থী এ সময়ে গভীর সমুদ্রের দিকে না নামে। বকখালি মৌসুনি দ্বীপেও পর্যটকদের সতর্কবার্তা দিচ্ছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বেশ কিছুটা দূরে সরিয়ে আনা হয়েছে। তবে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষজন।
গতবারের কোটালেই এক মাসের মধ্যে পরপর দুবার ভেঙে পড়েছিল গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির মন্দির-সংলগ্ন ১ থেকে ৫ নম্বর রাস্তার বেশ কিছু অংশ। আবারও আজ আমাবস্যার কোটাল। আবারও নদীর জল বাড়লে, ভাঙবে নদীবাঁধ। বানভাসি হবে সাগরের মানুষজন। তাঁদের দাবি, এবার পাকাপাকিভাবে তৈরি করা হোক নদী-বাঁধ, যাতে রক্ষা করা যায় গঙ্গাসাগরকে।