শেখর চন্দ্র, আসানসোল: রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই জল চাড়ছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি! যার জেরে একাধিক জেলার বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে নবান্ন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমন তথ্যই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তার পরেও জল ছাড়ার হার কমালো না ডিভিসি। উলটে রবিবার থেকে বাড়ল জল ছাড়ার পরিমান। এদিন তারা মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়বে বলে খবর। ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়তে হবে।
ডিভিসি সূত্রে খবর, শনিবার গভীর রাত থেকেই জল ছাড়া শুরু হয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতিদিনই সেখান থেকে এই পরিমাণ জল ছাড়া হয়। ফলে এখানে কোনও বিপদ সংকেত নেই। কিন্তু পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে। এদিন ১ লক্ষ ১৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে পাঞ্চেত জলাধার। যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।
দুই জলাধারের জল জমা হয় দুর্গাপুর ব্যারেজে। পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টি বাড়লে সেখান থেকেও অতিরিক্ত জল ছাড়তে হবে। ইতিমধ্যে সেখান থেকে ৯২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৃষ্টি বাড়লে জল ছাড়ার পরিমাণও বাড়বে। ফলে বিপদের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে।
হাওয়া অফিস বলছে, বাংলা থেকে ক্রমশ দূরত্ব বাড়াচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। ফলে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার উন্নতি ঘটছে। তবে মঙ্গলবার ফের ভারী বৃষ্টি হতে পারে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। এর মধ্যে ডিভিসি জল ছাড়লে বিপদ যে বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।