• মহিলা ফরেস্ট রেঞ্জারকে হুমকি, দলের নির্দেশ মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা অখিল গিরির
    এই সময় | ০৪ আগস্ট ২০২৪
  • মহিলা রেঞ্জারকে হুমকির ঘটনায় দলের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি। রবিবার কিছুটা সুর নরম করে তিনি বলেছিলেন, যে মন্তব্য উত্তেজনার বশে করেছিলেন তাঁর জন্য অনুতপ্ত। এবার দলীয় তরফে অখিল গিরির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিল তৃণমূল। সূত্রের খবর, তাঁকে ইস্তফার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বনদপ্তরের ওই মহিলা কর্মীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতেও তাঁকে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দলের কোনও পদে নেই অখিল গিরি। তবে তিনি রাজ্যের কারামন্ত্রী।তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন ‘এই সময়’-কে বলেন, 'অখিল গিরির আচরণের বিরোধিতা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আজ দলের নির্দেশে সুব্রত বক্সি অখিল গিরিকে ফোন করে মহিলা আধিকারিকের থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেন। পাশাপাশি দলকে তাঁর পদত্যাগপত্রও পাঠাতে বলেন।' বিজেপি এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করার কথা ভাবতেও পারবে না জানান তিনি। রাজ্যের শাসক দল রাজধর্ম পালন করে, মন্তব্য তাঁর।

    অখিল গিরি বলেন, 'আমাকে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ফোন করেছিলেন। তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। আমি ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র লিখে ফেলেছি। রাতে মেল করব। কাল মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসবেন। সেখানে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র দেব।' তিনি আরও বলেন, 'আমি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেও জনপ্রতিনিধি থাকব। এলাকার অসহায় মানুষদের জন্য আমার লড়াই চলবে।'

    উল্লেখ্য, শনিবার অখিল গিরির একটি ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। যেখানে বন দপ্তরের এক মহিলা আধিকারিককে হুমকি দিতে দেখা যায় তাঁকে। বন দপ্তরের জায়গা থেকে বেআইনি দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল ওই মহিলা আধিকারিককে। অখিল গিরি তাঁকে রীতিমতো হুমকি দেন বলে অভিযোগ।

    এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ অখিল গিরির আচরণের নিন্দা করেছিলেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট শেয়ার করেন। সেখানে লেখেন, ‘মন্ত্রী অখিল গিরির কথা এবং আচরণের বিরোধিতা করছি। এটা অবাঞ্ছিত। বনদপ্তর নিয়ে কিছু বলার থাকলে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে বলতে পারতেন। তার বদলে মহিলা অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার দুর্ভাগ্যজনক।তবে সিপিএম, বিজেপির এনিয়ে বলার অধিকার নেই। ওরা এর থেকেও অনেক কুৎসিত কাজ বারবার করেছে।' এরপর রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও ওই মহিলা বনদপ্তরের আধিকারিককে ফোন করেন। কী ঘটনা ঘটেছিল, সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যও নেন তিনি।
  • Link to this news (এই সময়)