• অপরাধ করে ক্ষমা চাইলেন দোষ মকুব হয় না কি? অখিলকে ইস্তফার নির্দেশকে কটাক্ষ BJPর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৪ আগস্ট ২০২৪
  • মহিলা সরকারি আধিকারিককে কুকথা বলায় কারামন্ত্রী অখিল গিরিকে তৃণমূলের তরফে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে তৃণমূলের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নয় বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, সরকারি আধিকারিককে কাজে বাধা দিলেও কেন ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের হবে না অখিল গিরির বিরুদ্ধে। ইস্তফা দিয়ে ক্ষমা চাইলেই কি সাত খুন মাফ?


    পড়তে থাকুন - ভুয়ো রেশন কার্ড বানিয়ে তছরূপ, TMCর ব্লক সভাপতির বাবাকে ২ কোটি টাকা ফাইন রাজ্যের

    বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি শুনে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি যে অখিলবাবুকে পদত্যাগ করতে বলে ফোন করেছেন সুব্রত বক্সি। সুব্রত বক্সি সরকারের কে? তিনি কী ভাবে মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলতে পারেন। পদত্যাগের নির্দেশ দিতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এখনও চুপ কেন?’

    শমীকবাবু আরও বলেন, ‘সুব্রত বক্সি কি আদালত? না হলে, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় অভিযুক্তের সাজা কী হবে সেটা উনি ঠিক করলেন কী করে? ক্ষমা চাইলেই সাত খুন মাফ। কাল সুব্রত বক্সির ওপর কেউ হামলা চালিয়ে যদি ক্ষমা চায় তার ক্ষেত্রেও তৃণমূল একই কথা বলবে তো?’

    শমীকবাবু বলেন, ‘ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূলের অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা উচিত ছিল। তা না করে এসকেপ রুট খুঁজছেন তৃণমূল নেতারা।’

    এই ঘটনায় মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার প্রতিবাদকে কটাক্ষ করেছেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, কাল তো বিধানসভা বসবে। আমি থাকব। আশা করি মুখ্যমন্ত্রী ও বনমন্ত্রীও থাকবেন। দেখি উনি কী বলেন?


    শনিবার তাজপুর সমুদ্র সৈকতে বন দফতরের জমিতে জবর দখল সরাতে গিয়ে অখিল গিরির রোষে পড়েন স্থানীয় রেঞ্জার মনীষা সাউ। তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন মন্ত্রী।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)