রাত পর্যন্ত জল ছাড়বে DVC, ২০ হাজার বাসিন্দাদের সরানো হলো নিরাপদ স্থানে
এই সময় | ০৫ আগস্ট ২০২৪
রবিবার বিকেল পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে মোট ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮৩৬ কিউসেক জল ছাড়া হল। রাত পর্যন্ত আরও জল ছাড়া হবে। বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবকটি নদীর জলস্তরই বেড়েছিল। ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাঁকুড়া জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষকে ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক।রবিবার দুর্গাপুর ব্যারেজে পরিদর্শন করেন বাঁকুড়া জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। আজ ররিবার বিকালে দুর্গাপুর ব্যারেজে এসে সেচ দপ্তরের অফিসে স্কাডা সেন্টার ঘুরে দেখেন। দামোদর নদের দুর্গাপুর ব্যারেজ-এর লকগেট থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক সৈয়দ এন, বাঁকুড়া পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি। কথা বলেন সেচ দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে।
রবিবার নতুন করে জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ও সোনামুখী ব্লক এলাকার একাংশ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দামোদর তীরবর্ত্তী ওই এলাকার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাঁকুড়া জেলাশাসক সিয়াদ এন বলেন, ‘ডিভিসি-র পক্ষ থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ইতিমধ্যে ১ লক্ষ ১২ হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে, এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।’ ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দামোদর তীরবর্ত্তী বড়জোড়ার মানাচর ও সোনামুখীর উত্তরচর, ডিহিপাড়ার অন্তত ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ডিভিসির জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল নবান্ন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে যার কারণে বাংলায় বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরমার্শ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় জলমগ্ন হয়ে যায় বিস্তীৰ্ণ এলাকা। ডিভিসির জল ছাড়ার পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।