দলীয় সূত্রে খবর, তাজপুরের ঘটনার পর এবার অভিষেকের নির্দেশে তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিস থেকে দলের প্রত্যেক মুখপাত্রকে মোবাইলে এসএমএস করে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে, কেউ যেন অখিল গিরির পক্ষ নিয়ে কথা না বলেন অর্থাৎ অখিল যে কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন তাতে তাঁকে দলের কোনও স্তরের কোনও নেতা অথবা মন্ত্রী যেন প্রশ্রয় না দেন, সেটাই স্পষ্ট করা হয়েছে। সুতরাং, দলের পদে থেকে মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে তার পরিণাম কী হতে পারে, সম্ভবত তার বড় উদাহরণ হয়ে থেকে যেতে পারেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দল ‘শুদ্ধিকরণ’ -এর বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সুরে অভিষেকও জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর রাজনৈতিক বিরতিতে থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। দলীয় বিভীষণদের বিরুদ্ধে তিনি আগামী তিন মাসের মধ্যেই ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। এর মধ্যেই রাজ্যের এক মন্ত্রী বন দফতরের মহিলা অফিসারকে কুকথা বলে অপমান করেন। অখিলের এই বিতর্কিত কার্য কেবল দলের মাথা নিচু করেছে তাই নয়, প্রশাসনিক আধিকারিকদেরও ‘ছোট’ করেছে। এই উপলব্ধি থেকেই মমতার নির্দেশে দলের তরফ থেকে অখিলকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল বন দফতরের মহিলা অফিসারের কাছে। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার নামে অখিল কেবল দুঃখপ্রকাশ করেছেন এবং উল্টে ওই মহিলা অফিসারের ঘাড়েই সকল দোষ চাপিয়েছেন।
ফলে অবশেষে তাঁকে বরখাস্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন মমতা। এরপরই অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা, অখিলের কার্যকে সমর্থন করা যাবে না। একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের গ্রেফতারির প্রসঙ্গেও অভিষেক পূর্বে বলেছিলেন, তৃণমূল অপরাধীদের বরদাস্ত করে না বরং তাঁদের পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় অথবা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এবার ব্যতিক্রম হলো না অখিলের ক্ষেত্রেও। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজ দায়িত্ব পালনের পরই দলীয় অন্যান্য নেতৃত্বদের সতর্ক করে দিলেন অভিষেক।