কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী সওয়াল করে জানিয়েছেন, “কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ ছাড়া স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের ঘুম ভাঙ্গানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্ট যদি মামলাকারীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা না করে তাহলে তারা কোথায় যাবেন? হাইকোর্টেও যদি মামলার শুনানি না হয় তাহলে বিচার প্রার্থীরা বঞ্চনার শিকার হবে। আর এই সুযোগে রাজ্য সরকার একটার পর একটা অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে।” প্রসঙ্গত, বহু চর্চিত ডিএ মামলার রায়দান ঘটেছিল এই স্যাটে-ই। সম্প্রতি মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী তপন মুখোপাধ্যায়ের কাছে উত্তর জানতে চান বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী।
ভর্ৎসনার সুরে বিচারপতি বলেছেন, “স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? দীর্ঘদিন এভাবে চলতে পারেনা, রাজ্য সরকারকেই স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল চালানোর দায়িত্ব নিতে হবে।”মামলাকারীদের অভিযোগ, -‘ ২০১৯ সালে আইসিডিএস সুপারভাইজারের জন্যে ২৯৫৪টি শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৮০ জন এই পদের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন। এখনও পর্যন্ত ১৬২৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। বাকি শূন্যপদে আজও নিয়োগ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ট্রাইবুনালে মামলা করার জায়গা পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই নিরুপায় হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন’। আদালত সুত্রে প্রকাশ, এর আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনেরের কাছে মামলাকারী প্রার্থীরা আবেদন জানিয়েছিলেন যে, -‘সমস্ত পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে । কিন্ত তারই মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতে থাকে’।
অবশেষে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় মামলাকারীরা। পুনর্মূল্যায়ন এবং স্বচ্ছ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, -‘তারা এই মামলা শুনতে পারবেন না, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল কে এই মামলা শুনতে হবে’। কিন্তু আদালতের সেই নির্দেশ আজও কার্যকর হয়ে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ । রাজ্যের প্রায় নিয়োগ ঘিরে যখন একের পর এক অভিযোগ। সেসময় নিয়োগ সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল অর্থাৎ স্যাটের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ না হওয়ায় দ্রুত বিচারদানে বিপত্তি ক্রমশ বাড়ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।