রাজ্যে বাড়ছিল মোবাইল চুরি, অবশেষে আন্তর্জাতিক চক্রের পর্দাফাঁস
প্রতিদিন | ০৫ আগস্ট ২০২৪
অর্ণব দাস, বারাসত: মোবাইল চুরির তদন্তে নেমে আন্তর্জাতিক মোবাইল পাচার চক্রের হদিশ পেল বারাসত থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনজন। ধৃতদের নাম আজহার মোল্লা, আলমগীর ওস্তাগীর এবং মীর হোসেন। এদের মধ্যে আজহারের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি থানা এলাকায়। বাকি দুজনের বাড়ি হাসনাবাদে। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি যাওয়া মোবাইলগুলি বাংলাদেশ সীমান্তের স্বরূপনগর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ জুলাই টাকি রোড সংলগ্ন কদম্বগাছি এলাকার একটি দোকানের সাটার কেটে ১৮ টি মোবাইল চুরি যায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি রাতে পুলিশি টহলও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে আরেকটি মোবাইলের দোকানের চুরি আটকানো যায়। সেই ঘটনায় চোরদের ধাওয়া করা হলেও ধরা যায়নি। তার পরই সূত্র মারফত খবর পেয়ে কাজিপাড়ার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে আজহার ও আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি জেরার ধৃতরা চুরির অভিযোগ স্বীকার করেন। জেরায় বাংলাদেশে মোবাইল পাচারের কথা জানান ধৃতরা। তাঁদের থেকেই হাসনাবাদের বাসিন্দা লিংকম্যান মীর হোসেনের নাম জানতে পারে পুলিশ। এর পর মীরকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা স্বরূপনগরের বিথারি থেকে চুরি যাওয়া মোবাইলগুলি উদ্ধার হয়।
শনিবার এবিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বারাসত পুলিশ জেলার এসডিপিও বিদ্যাগর অজিঙ্কা অনন্ত বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে বসিরহাট পুলিশ জেলার একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা যেই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিত সেখানকার চার-পাঁচটি দোকানে চুরি করে বাংলাদেশে পাচার করত। তবে এখানে একটি দোকানে চুরির করার পরেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত তাদের খোঁজ চলছে।” তিনি আরও বলেন, “বাড়ির মালিক ধৃত দুজনের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন না করেই ভাড়া দিয়েছিলেন। নথি ছাড়া এরকম অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকেন। এতে দুষ্কৃতীরা বেআইনি কাজ করার সুযোগ পায়। তাই অনুরোধ করব ভেরিফিকেশন ছাড়া কেউ যেন বাড়ি ভাড়া না দেন। পুরসভার কাউন্সিলরদের সঙ্গেও এনিয়ে বৈঠক করা হবে।”
এদিকে, সোদপুর থেকে বাইক চুরির একটি চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করেছে খড়দহ থানার পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনটি চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করেছে তাঁরা। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের কোনও আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে কিনা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃতদের বারাকপুর আদালতে তোলা হয়েছে।