নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: ক্রেতা সেজে কেপমারি করে গয়না নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে হুগলির কোন্নগরের চড়কতলার ১/১১ এন সি মিত্র লেনের একটি সোনার দোকানে এই ঘটনা ঘটেছে। রাতেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করলেও রবিবার রাত পর্যন্ত এর কিনারা করতে পারেনি পুলিস। তবে স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কেপামারি করলেও রীতিমতো রেকি করেই এসেছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার আগে দুষ্কৃতীদের একজনকে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। কোন্নগরের ওই সোনার দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না কেপামারি হয়েছে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজে এক দুষ্কৃতীকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে।
সম্প্রতি চণ্ডীতলা থেকে উত্তরপাড়া হয়ে কোন্নগর, ধারাবাহিকভাবে দোকানে, রাস্তায় কেপমারির ঘটনা ঘটেছে। মাসখানেক এমন ঘটনা বন্ধ থাকলেও শনিবার রাত থেকে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন নাগরিকরা। দোকানের মালিক গোবিন্দ কর্মকার বলেন, যা বলার পুলিসকে বলেছি। আমি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তাই কিছু বলতে চাই না। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় দোকানে বেশ ভিড় ছিল। কয়েকজন মহিলা দোকানে এসেছিলেন। তখন মাঝবয়সি ওই কেপমার দোকানে আসে। এসেই সোনার হারের খোঁজ করে। দোকান মালিক তাকে বিভিন্ন রকমের কালেকশন দেখাতে শুরু করেন। সেই সময় ওই ব্যক্তির মধ্যে কোনও অস্থিরতা বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। বেশ কয়েকটি গয়না নিয়ে সে নাড়াচাড়া করে। মালিক সেই সময় অন্য ক্রেতাদের নিয়ে ব্যস্ত পড়লে লওই ব্যক্তি গয়নার বাক্স নিয়ে দ্রুত দোকান থেকে বেরিয়ে যায়। দোকান মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে দ্রুত ধাওয়া করলেও তাকে ধরতে পারেননি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, চড়কতলার ওই সোনার দোকান থেকে একজনকে দ্রুত বেরতে দেখা যায়। তারপরই বাইকে করে চলে যায়। দোকান মালিকের চিৎকারে আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি। ততক্ষণে ওই কেপমার এলাকা ছেড়ে পগার পার। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিসের মতে, আগে থেকেই বাইক নিয়ে কেপমারের এক সঙ্গী অপেক্ষা করছিল। কেপমার দোকান থেকে বেরতেই তারা এলাকা থেকে সরে পড়ে। উত্তরপাড়া থানার পুলিসের দাবি, কেপমার বেশ কিছুটা সময় দোকানে ছিল। সুযোগের অপেক্ষা করছিল। যখনই দোকান মালিক একটু অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন, তখনই তাঁর ও দোকান কর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে গয়না নিয়ে সে পালিয়ে যায়।