স্থানীয় সূত্রে খবর, বারুইপুরের এই উত্তরভাগ পাম্পিং স্টেশন কার্যত পর্যটনকেন্দ্রে চেহারা নিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় থেকে বহু মানুষ সেখানে ঘুরতে আসেন। কেন? কলকাতা ও রাজপুর-সোনারপুর পুরসভাস বারুইপুর, এমনকী, উত্তর ২৪ পরগনারও একাংশের জল উত্তরভাগ পাম্পিং স্টেশন হয়ে বিদ্যাধরী ও মাতলা নদীতে পড়ে। আর পাম্পিং স্টেশন জমা জল যখন খালে পড়ে, তখন তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। সেই স্রোত দেখতেই ভিড় জমে।
নিখোঁজ যুবকের নাম মহম্মদ শামীম। বাড়ি, বারুইপুরের মল্লিকপুরে। গত কয়েকদিন ভারী বৃষ্টি উপচে পড়েছে নদীগুলি। জলে বেড়েছে পাম্পিং স্টেশনেও। এদিন বন্ধুদের সঙ্গে সংরক্ষিত এলাকা ঢুকে জলে স্রোতের সঙ্গে রিলস বানাচ্ছিল শামীম। এরপর হঠাত্-এ স্রোতে ভেসে যায় সে নিজেই। স্রোত এতটাই ছিল য়ে, বন্ধুকে চেষ্টা করেও ওই কিশোরকে আটকাতে পারেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার পুলিশ। যান স্থানীয় বিধায়কও। যুদ্ধকালীন তত্পরতা শুরু হয় উদ্ধারকাজও। কিন্তু শামীমের খোঁজ মেলেনি।
রিলস বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে আগেও। উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে তিনতলার ছাদে থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিল এক তরুণী। ।দুই পায়ের গোড়ালী, এবং পায়ের সংযোগস্থলের হাড় টুকরো টুকরো হয়ে বেরিয়ে এসেছিল ত্বক ভেদ করে। আপৎকালীন অস্ত্রোপচার করে কোনওমতে পা বাঁচিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।