মাইথন-পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ায় বিরাম নেই, চাপ বাড়ছে ব্যারাজে
এই সময় | ০৫ আগস্ট ২০২৪
এই সময়: মাইথন, পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ যত বাড়ছে ততই চাপ তৈরি হচ্ছে দুর্গাপুর ব্যারাজে। শনিবার রাতে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে পরিমাণ কমানো হলেও পরিস্থিতির ফেরে রবিবার সকাল থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এদিন সকালে ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৯৮ হাজার ৫২৫ কিউসেক। বেলার দিকে সেটা বেড়ে হয় ১ লাখ ১২ হাজার।রাতের দিকে ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সেচ দপ্তরের দুর্গাপুর শাখার চিফ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দুপুর থেকে দুর্গাপুর ব্যারাজে ১ লাখ ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। রাতের দিকে সেটা বেড়ে ১ লাখ ২৫ বা ৩০ হাজার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে এক লাখ কিউসেকের বেশি জল ছাড়ায় বেশ কয়েকটি এলাকায় বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাঁকুড়ার দিকে বড়জোড়া ও সোনামুখী ব্লকের একাংশে জল ঢুকেছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে দুর্গাপুর ব্যারাজে পরিস্থিতি দেখতে আসেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক সৈয়দ এন ও পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি।
জেলাশাসক বলেন, ‘দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে এক লাখ কিউসেকের উপর জল ছাড়ায় সোনামুখী ও বড়জোড়ার বহু এলাকায় জল ঢুকে গিয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে ডিভিসি। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’
এদিকে, দুর্গাপুর ব্যারাজ সমেত নদীর আশপাশে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। বিপদের কথা মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘জল বাড়লে দামোদর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।’ জল বাড়ছে অজয়েরও। বীরভূমের জয়দেব থেকে পশ্চিম বর্ধমানের শিবপুরে আসার জন্য অজয়ের উপর অস্থায়ী সেতু স্রোতে ভেসে গিয়েছে।
ফলে দুই জেলার বাসিন্দাদের অনেকটা ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ডিভিসির এগজ়িকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল) আঞ্জনি কুমার দুবে বলেন, ‘মাইথনে ৪৮৩.৭০ ফুট এবং পাঞ্চেতে ৪১৯.৪৩ ফুট জল রয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে মাইথন এবং পাঞ্চেতে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর কিছুটা কমানো হয়েছে জল ছাড়ার পরিমাণ।’ রাতে মাইথন-পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমে হয়েছে ৭৫ হাজার কিউসেক।