• গাড়ির হঠাৎই ব্রেকডাউন! ফ্লাইওভারে বিচারক কে?
    এই সময় | ০৫ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: কখনও গাড়ির তেল শেষ। কখনও টায়ার পাংচার, কখনও ব্রেক ডাউন। প্রতিদিন গড়ে ১০-১২টি গাড়ি খারাপ হচ্ছে এজেসি বোস রোড এবং মা ফ্লাইওভারে। তাতে যেমন তীব্র যানজটের কবলে পড়ছেন অন্য গাড়ির চালক এবং যাত্রীরা, তেমনই রেকার ভ্যানের সাহায্যে খারাপ গাড়িকে নীচে নামাতে গিয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের অনেকটা সময় যাচ্ছে।সেই যন্ত্রণা কমাতেই ফ্লাইওভারের ওপরে ক্ষেত্রবিশেষে ৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশিকা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। তাতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। গাড়ি চালকদের একাংশ যেমন তীব্র অসন্তোষ জানাচ্ছেন, তেমনই অনেকে এই পদক্ষেপকে স্বাগতও জানাচ্ছেন।

    পুলিশের যুক্তি, গত কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে ১০-১২টি গাড়ি দুই ফ্লাইওভারে ওঠার পরেই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাসে সংখ্যাটা প্রায় ৩০০। যতক্ষণ না গাড়ি সরানো হচ্ছে, যানজট কমছে না। তার প্রভাব পড়ছে ফ্লাইওভারের নীচের রাস্তাতেও। পুলিশের পুলিশের অভিযোগ, অনেক সময়েই ‘পুওরলি মেইনটেনড’ বা কার্যত বেহাল গাড়ি নিয়ে ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াত করছেন চালকেরা।

    তাতে গাড়ি খারাপ ও তার জেরে যানজটের ঘটনাও বাড়ছে। এ দিকে চালকদের একাংশের প্রশ্ন, সিএফ বা ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও যদি গাড়ি হঠাৎ খারাপ হয়, তখন কী হবে? তা হলেও কি ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে? কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্র্যাফিক শ্রীকান্ত জগন্নাথ রাও বলেন, ‘প্রতিদিন বহু গাড়ি খারাপ হয়ে পড়ছে ফ্লাইওভারে। দেখা যাচ্ছে, গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ নেই। ছোট দুর্ঘটনায় ঝামেলা হলে, ফ্লাইওভারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ঝামেলা না করে, পুলিশে জানানো যেতে পারে। কোনও ভাবে ফ্লাইওভারে যানজট করা যাবে না।’

    অভিযোগ, অনেকে আবার ফ্লাইওভারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেলফি, রিলস বানানোর চেষ্টা করছেন। তাতেও সমস্যা হচ্ছে। তবে জরিমানার যুক্তিতে ‘এক্স হ্যান্ডেল’-এ সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে কলকাতা পুলিশকে। শুভজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তি পোস্ট করেছেন, ‘এ বার থেকে গরিব জনগণ এজেসি বোস রোড এবং মা ফ্লাইওভার দিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। যাঁরা ৫ হাজার টাকা দিতে পারবেন, তারাই যান।’

    আশু শেঠ লিখেছেন, ‘রোড ট্যাক্স দেওয়া হচ্ছে। তা হলে গাড়ি চলার জন্য রাস্তাগুলো কেন ঠিক থাকে না।’ মা ফ্লাইওভার তিলজলা এবং ইস্ট ট্র্যাফিক গার্ডের অধীনে। কলকাতা পুলিশের ১০ জন কর্মী সব সময়ে ফ্লাইওভারে নজরদারি চালান। পুলিশের বক্তব্য, ‘যে কোনও পরিস্থিতিতে পুলিশ সহযোগিতা করে। কিন্তু কিছু চালকের জন্য ফ্লাইওভারে নিত্য যানজট হচ্ছে। সে কারণেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’
  • Link to this news (এই সময়)