রাজ্য সরকার লুঠেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেই আটকে ১০০ দিনের টাকা: শংকর
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ আগস্ট ২০২৪
রাজ্যে ১০০ দিনের টাকা না আসার জন্য দায়ী তৃণমূল। দুর্নীতি করে তৃণমূলের পকেট ভরা আটকাতে করতেই রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাঠানো বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। যতদিন না তৃণমূল ইতিমধ্যে পাঠানো টাকার হিসাব দেবে ও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করবে ততদিন টাকা পাবে না রাজ্য সরকার। রাজ্যকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের প্রকাশ করা নথির প্রতিক্রিয়ায় এমনই জানালেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, এব্যাপারে গত ২৭ জুলাই কলকাতায় এসে কেন্দ্রের অবস্থান স্পষ্ট করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়ত।
পড়তে থাকুন - BJPর বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে TMC
শংকরবাবু বলেন, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজে যে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। ভুয়ো জব কার্ড দেখিয়ে বছরের পর বছর মানুষের করের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল নেতারা। ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছে তারা। এসব ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কেন্দ্র তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বলেছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকার লোক দেখানোর জন্য হাতে গোনা কয়েকজনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছে। বাকিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি তারা। ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতিতে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যতদিন না পর্যন্ত আইনি পদক্ষেপ হচ্ছে ততদিন কেন্দ্র টাকা পাঠাবে না। নিজেদের এই অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার কেন্দ্রকে হিসাব দিচ্ছে না বলেই টাকা আটকে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তো আর লুঠপাট করার জন্য সাধারণ মানুষের করের টাকা পাঠাতে পারে না। আর সে অধিকারও কেন্দ্রের রয়েছে।
গত ২৭ জুলাই কলকাতা সফরে এসে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়ত বলেছিলেন, ‘১০০ দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, এই ২টি বিষয়ে জটিলতা রয়েছে। এই ২ প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। একটি ছোট তদন্ত ভারত সরকার করেছিল। তাতে কোটি কোটি টাকার বেনিয়ম ধরা পড়েছে। ৫৬ জনের বেশি আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে হয়েছে। ৯টির বেশি FIR হয়েছে। বহু আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি পঞ্চায়েতে সমীক্ষা করে ৪৪ কোটি টাকা অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যে দুর্নীতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুক। যত জায়গায় কাজ হয়েছে তার সশরীরে তদন্ত করাক তার পর বাকি টাকা দেওয়া হবে।’
সাংবাদিকদের মন্ত্রীমশাইয়ের প্রশ্ন ছিল, ‘আমার আপনার করের টাকার সঠিক ব্যবহার হোক, তা তোলাবাজিতে খরচ যেন না হয়, দুর্নীতিবাজদের পকেটে যেন না যায় তা দেখার দায়িত্ব ভারত সরকারের। তাই এই ধরণের বিধিনিষেধ লাগানো উচিত কি না আপনারাই বলুন।’