শুধু তাই নয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী-তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে মানুষজনকে সতর্ক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো মাইকিং শুরুও হয়েছে। বলা হচ্ছে, মানুষ যেন অযথা আতঙ্কিত না হন বরং দ্রুত বিপজ্জনক স্থান ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। নিরাপদ স্থান অথবা ফ্লাড সেন্টারে চলে যেতে বলা হচ্ছে।
উলুবেড়িয়া জয়পুরের ঘোড়াবেড়িয়া চিতনান ও ভাটোরা 'ভাটোরা দ্বীপ অঞ্চল' নামে পরিচিত। এই দ্বীপাঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। এই দ্বীপাঞ্চল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল বাঁশের ৪টি সাঁকো ভেঙে পড়ায়। এই মুহূর্তে মূল ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে ভাটোরা। ডিভিসি জল ছাড়ায় জলের তোড়ে যে চারটে জায়গার বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছে সেগুলি হল, ভাটোরা গায়েন পাড়া, ভাটোরা পানশিউলি ঘাট, কুলিয়া ঘাট ও টাকি পাড়া।
ভাটোরা দ্বীপাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে রবিবার দুপুর পর্যন্ত নৌকা চলাচলের মাধ্যমে মানুষজনকে পারাপার করানো হচ্ছিল। তবে রবিবার দুপুরের পর থেকে উচ্চ পর্যায়ে প্রশাসনের নির্দেশমতো নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে খুব প্রয়োজন ছাড়া কোনও নৌকাই চালানো যাবে না-- এই মর্মে নির্দেশ প্রশাসনের। চিকিৎসা এবং খুব জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে স্পিডবোটের ব্যবস্থা করা হবে।