ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাদল অধিবেশনের শেষদিনে একের পর এক চমক বিধানসভায়। বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে মমতার পাশে দাঁড়ান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘অখণ্ড পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ’ শাসক-বিরোধী। বিধানসভায় সংশোধিত প্রস্তাব পেশ হয়। বিধানসভায় এই প্রথমবার রাজ্য সঙ্গীত গাইলেন বিজেপি বিধায়করা।
বিভিন্ন রাজ্যের নিজেদের সঙ্গীত রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তেমন কোনও সঙ্গীত ছিল না। একটা জাতীয় সঙ্গীত যা গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য। সে কারণে গত বছর রাজ্য সঙ্গীতের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’-কে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় বিধানসভায়। গত বছর বিধানসভায় তা পাশও হয়। এর পরই নির্দেশিকা জারি করে মুখ্যসচিবের তরফে জানানো হয়, রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠান, কর্মসূচির শুরুতে ৫৯ সেকেন্ড ধরে ‘রাজ্য সঙ্গীত’ গাইতে হবে। অনুষ্ঠানের শেষে গাইতে হবে জাতীয় সঙ্গীত। এই দুটি গানই উঠে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সকলকে গাওয়ার কথাও বলা হয়। এই নির্দেশিকার বছরখানেক পর চলতি বছরের বাদল অধিবেশনের শেষদিনে এই প্রথমবার রাজ্য সঙ্গীত গাইলেন বিজেপি বিধায়করা।
সোমবার বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে আক্রমণ করেন। পরে বিধানসভায় এই প্রসঙ্গে বলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অবিভক্ত বাংলার পক্ষে সওয়াল করেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো শাসকদলের প্রস্তাবে বিরোধী দলনেতার প্রস্তাবও যোগ হয়। বিধানসভার অধিবেশন শেষে সংশোধিত প্রস্তাব পেশ করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তা সর্বসম্মতিক্রমে পাশও হয়। এর পরই চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন রাজ্য সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন। তখন তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিধায়করাও গলা মেলান। রাজ্য বিধানসভায় এই দৃশ্য যে বিরল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।