নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির প্রথম তলবে হাজিরা এড়ালেন জামিনে মুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, আইনজীবীর মাধ্যমে এদিন ইডিকে ৭০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন তিনি। ইডি তলব করলেও এদিন কলকাতার ধার কাছ মাড়াননি জীবনকৃষ্ণ। বড়ঞায় দলের পার্টি অফিসে বসে জানিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন তিনি।
পড়তে থাকুন - BJPর বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে TMC
রবিবার জীবনকৃষ্ণকে তলব করে ইডি। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সময় পার হয়ে গেলেও জীবনকৃষ্ণের দেখা মেলেনি সিজিও কমপ্লেক্সে। এর পর বড়ঞায় বসে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইডির তলবে আজ সশরীরে হাজিরা দিচ্ছেন না তিনি। সোমবার তাঁর আইনজীবী ইডিকে ৭০ পাতার নথি পেশ করবেন। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত বিধায়ককে বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে যোগদান করতে বলেছিলেন। আমি বিধানসভায় থাকায় সেই কর্মসূচি পালন করতে পারিনি। আজ সেই কর্মসূচি পালন করছি। সবাইকে গাছ ও পলিথিন শিট দেওয়া হচ্ছে।’ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সোমবার বিধানসভা অধিবেশন সচল থাকলেও কেন সেখানে যোগদান করলেন না জীবনকৃষ্ণ। ইডি হাজিরা এড়ানোর অস্বস্তি থেকে দূরে থাকতেই কি এই সিদ্ধান্ত?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছর এপ্রিলে ৪ দিন ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তল্লাশি চলাকালীন নিজের ২টি মোবাইল ফোন ছুড়ে বাড়ির পিছনের পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। পুকুর ছেঁচে ২টি ফোনই উদ্ধার করে সিবিআই। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। গত ১৪ মে জামিন পান জীবনকৃষ্ণ।
ইডি সূত্রে খবর, নবম – দশম ও একাদশ – দ্বাদশ শিক্ষক নিয়োগে জীবনকৃষ্ণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। কার কার কাছে সেই টাকা গিয়েছে তা জানতে বিধায়ককে তলব করেছে ইডি।