কল্যাণী এইমস হাসপাতালে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। কোনও জনপ্রতিনিধি ও সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট সরকারের অনুমোদন নিতে হয়, এক্ষেত্রে সেই অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে মামলা খারিজ করা হল কলকাতা হাইকোর্টে।কল্যাণী এইমস হাসপাতালে কেন্দ্রের শাসক দলের প্রভাবশালীদের নেতা আত্মীয়-স্বজনদের বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা খারিজ করে দেওয়া হল কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা ও তাঁর মেয়ে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, AIIMS কল্যাণীর ডিরেক্টর সহ বেশ কয়েকজন।
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্ত এদিন মামলা খারিজ করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনও জনপ্রতিনিধি ও সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা শুরু করতে হলে সংশ্লিষ্ট সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে কোনও অনুমোদন না নিয়েই পুলিশ ওই ধারায় মামলা শুরু করায় মামলা খারিজ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কল্যাণী এইমসে বেআইনিভাবে নিয়োগের বিষয়টি সামনে আসে। চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ ও বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। মুর্শিদাবাদের এক বাসিন্দা কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বঙ্কিম ঘোষ প্রভাব খাটিয়ে তাঁর পুত্রবধূ অনসূয়া ঘোষকে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ উঠেছিল দুই বিজেপি বিধায়ক প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। নীলাদ্রি দানার মেয়ে মৈত্রী দানার নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ওঠে। এইমস কল্যাণীর এই মামলার তদন্ত ভার যায় সিআইডির হাতে। এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছিল চার বিজেপি বিধায়ক-সহ আট জনের বিরুদ্ধে।