জ্বলছে ওপার বাংলা কিন্তু ভয়ে কাঁটা এপার বাংলার এই গ্রাম, কেন?
প্রতিদিন | ০৬ আগস্ট ২০২৪
রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: এই মুহূর্তে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই খবরে আতঙ্কিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কাঁটাতার সংলগ্ন ভাটুপাড়া গ্রামের মানুষ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পরেই আগের তুলনায় বেড়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারি। কাঁটাতার বরাবর সীমান্তের রাস্তায় আগের থেকে বেশি যাতায়াত করছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গাড়ি। গ্রামের মধ্যে ইতস্তত জটলা, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। গ্রামবাসীদের মুখে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমাদের রক্ষা করবে বিএসএফ।” ভাটুপাড়া ছাড়াও আতঙ্কিত তেহট্ট মহকুমার সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষ। সকলের একটাই প্রশ্ন, আবার কি তাহলে ৭১-এর স্মৃতি ফিরে আসছে? সীমান্তবর্তী এলাকার অনেক পরিবারেরই আত্মীয়স্বজন রয়ে গিয়েছে ওপার বাংলায়, তারা কোথায় কী অবস্থায় আছে সেই খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিদের কথায়, “ভাটুপাড়া গ্রামটি কাঁটাতার ঘেষা হলেও এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি। গ্রামের মধ্যেই রয়েছে বিএসএফের বড় ক্যাম্প। এই ক্যাম্পের জওয়ানরাই আমাদের পাহারাদার। এই বিএসএফ ভাইদের জন্যই আমরা নিরাপদে আছি। রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমতে পারছি। যদি কোনও বিপদ আসে, আশা করি বিএসএফ আমাদের বুক আগলে রক্ষা করবে।” গ্রামের যুবক মানবেন্দ্র দাসবৈরাগ্য জানান, “সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে জানতে পারলাম বাংলাদেশের ভয়ানক পরিস্থিতির কথা, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের ঢিলছোড়া দূরত্বে বসবাস করায় আতঙ্কিত। যদি কোনও বিপদ আসে বিএসএফ আমাদের রক্ষা করবে।”
গ্রামের কলেজ ছাত্রী মিষ্টু ঘোষ জানান, “এই মুহূর্তে বাংলাদেশে ভয়ানক পরিস্থিতি চলছে, দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অগ্নিগর্ভ অবস্থা। যে কারণে সীমান্তের রাস্তায় বিএসএফের গাড়ির আনাগোনা বেশি নজরে পড়ছে। সীমান্তে আগের চাইতে বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের টহলদারি। এই সমস্ত দেখে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি আমরা। ছোটবেলায় ভারত-বাংলাদেশ বলে কোনও তফাত বুঝতাম না, আমাদের ভাষা আচার আচরণ সমস্ত কিছুই এক, কাঁটাতারের বেড়া আমাদের আলাদা করে রেখেছে। এই ঘটনার জেরে যদি কোন বিপদ আসে বিএসএফ আমাদের রক্ষা করবে। তারাই আমাদের গ্রামকে প্রাচীরের মত ঘিরে রেখে রক্ষা করবে।”